আবাসিক হোটেলে হয়রানি থেকে বাঁচতে কি কি করণীয় জেনে নিন

আবাসিক হোটেলে হয়রানি থেকে বাঁচতে কি কি করণীয়

আমরা প্রায়ই পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে শুনে থাকি তারা প্রিয়জন নিয়ে আবাসিক হোটেলে যাওয়ার পর হয়রানির স্বীকার হয়েছেন । অনেক সময় তো একা একা যাওয়ার পর অনেকে হয়রানির স্বীকার হয়েছেন এমনও শুনেছি ।

তো চলুন আজকে তুলে ধরবো আবাসিক হোটেলে অবস্থান কালে হয়রানির স্বীকার হলে আপনার করনীয় কি ?

  • যদি আপনার পরিচিত কোন পুলিশ থাকে তার কাছে সাহায্য চাইবেন ।
  • এমন কেউ না থাকলে 999 কল করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চাইবেন ।
  • হয়রানির স্বীকার হয়ে গেলে অবশ্যই পুলিশের কাছে অভিযোগ করবেন ।
  • আবাসিক হোটেলের কক্ষে প্রবেশ করার পরই দেখবেন গোপন কোন ক্যামেরা আছে কিনা । যদিও থাকে না , তারপরও চেক করে নিবেন ।
  • রাতের বেলা বাইরে থেকে কেউ নক করে দরজা খুলতে বললে দরজা খুলবেন না । আগে আবাসিক হোটেলের রিসিপশনে কল করে শিউর হবেন তাদের কোন কর্মী কিনা ।
  • মহিলারা যদি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন তাহলে আপনাদের আরও একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে ।
  • ভুলেও অপরিচিত কোন ব্যক্তিকে নিজের কক্ষে প্রবেশ করতে দিবেন না ।
See also  ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনের আশে পাশের আবাসিক হোটেলের ঠিকানা ভাড়া ও মোবাইল নাম্বার (Dhaka Airport Abasik Hotel Address)

কিভাবে আবাসিক হোটেলের রেপুটেশন (ভালো/নাকি খারাপ) চেক করবেন ?

  1.  আবাসিক হোটেলের ফেসবুক পেজ বা গুগল রিভিউ চেক করবেন ।
  2. গুগল সার্চ করে দেখে নিবেন আবাসিক হোটেলের নামে বাজে কোন নিউজ প্রকাশিত হয়েছে কিনা ।
  3. আশে পাশের মানুষের কাছেও জানতে চাইতে পারেন।
  4. বাংলাদেশের আবাসিক হোটেল নিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ সদস্যের আবাসিক হোটেল তথ্য নামে ফেসবুকে গ্রুপে জয়েন করেও যেকোন আবাসিক হোটেলের রেপুটেশন ভালো নাকি খারাপ সেটা পোস্ট করে জেনে নিতে পারবেন ।

আবাসিক হোটেলে উঠার আগে কি কি জেনে রাখা প্রয়োজন সেই তথ্য গুলোও জেনে রাখতে পারেন ।

যদি আবাসিক হোটেলে প্রেমিক-প্রেমিকা পুলিশের হাতে আটক হলে কী ধরনের শাস্তি হয় জেনে নিন

See also  কক্সবাজার হোটেলে কি কি পাওয়া যায় ? এই পোস্টে সব জেনে নিন

আইনত তেমন কোনো শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে না। কিন্তু বেআইনিভাবে অনেক শাস্তিই পেতে হবে।

যেমন- মানসম্মানের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হতে পারে। আবার বাসায় যোগাযোগ করে ফ্যামিলি হয়রানি করা হতে পারে। তাই গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আবাসিক হোটেলে না যাওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় নিজেদের বাসায় সময় কাটালে। সেটা সম্ভব না হলে বন্ধু বা বান্ধবী যারা ব্যাচেলর থাকে তাদের বলে ম্যানেজ করতে পারেন। এখানেও কিন্তু রিস্ক আছে, তবে পুলিশি হয়রানি থেকে রেহাই পাবেন। রিস্ক হচ্ছে আপনাদের কার্যকলাপ গোপন স্পাই ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা হতে পারে। পরে সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার নাম করে ব্লাকমেইল করা হতে পারে।বর্তমানে এগুলো অহরহ ঘটছে।

See also  রাজশাহীর সকল আবাসিক হোটেলের নাম্বার