ইউটিউব ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে চলছে মেয়ে দিয়ে দেহ ব্যবসার ফাঁদ

ইউটিউব ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে চলছে মেয়ে দিয়ে দেহ ব্যবসার ফাঁদ

ঢাকায় অনলাইন অ্যাসকর্ট সার্ভিসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য লিভ ইন টুগেদার, ঢাকা রিয়েল সার্ভিস জোন, ঢাকা রিয়েল সার্ভিস অ্যান্ড গেস্ট হাউস, সিকরেট রিয়ের সার্ভিস ইন বিডি, ঢাকা অ্যাসকর্ট সার্ভিস, ভিআইপি মডেল সার্ভিস বিডি, ইমু সার্ভিস বিডি, ঢাকা অ্যাসকর্ট সার্ভিস, মেল অ্যাসকর্ট সার্ভিস ঢাকাসহ হাজারো পেজ ও গ্রুপ। এরকম কয়েকটি গ্রুপ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রাতের গভীরতা বাড়লেই এসব গ্রুপের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে ওঠেন। অনেক সময় বিভিন্ন মেয়ের আইডি থেকে উত্তেজক ছবি পোস্ট করে ফোন নম্বর দিয়ে দেয়া হয়।

সপ্তাহের ২৪ ঘণ্টাই অনলাইনে সক্রিয় থাকে এসব চক্র। ফোন কিংবা মেসেজ করলেই সাড়া মিলছে। এসব পেজে শুরুতেই টেলিগ্রামের মাধ্যমে ফি দিয়ে মেম্বারশিপ নিতে হয়। এরপরই ক্যাটাগরি অনুযায়ী নারী দেখে নির্বাচন করা হয়। সমাজে কানায় কানায় অশ্লীল ভিডিওর ক্ষতিকর প্রভাব ছড়িয়ে পড়ছে, পরকীয়া, দেহব্যবসা, মাদকাসক্ত এমনকি খুনের মতো দুর্ঘটনাও সংঘঠিত হয়। দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী চার কোটি ৬৫ লাখ। বর্তমান দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৭ লাখ। মেটার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।

ফেসবুক অ্যাপে প্রবেশ করলেই চোখ আটকাবে ভিডিও, ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে। মারাত্মক নেশার মতো ফেসবুক ও রিল ভিডিও। অশ্লীল ও যৌন উত্তেজক ভিডিও সমাজের শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে। বিশেষভাবে মেয়েদের অশ্লীল ও যৌন উত্তেজক ভিডিও। একটি শিশু স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই পিতা-মাতার স্মার্টফোন ব্যবহার করে অশ্লীল ভিডিও না বুঝেই দেখতে থাকে এবং বৃদ্ধরাও ইন্টারনেট সংযোগে স্মাটফোনের অপব্যবহার করে। সারা দিন পার করে এই ভিডিও দেখতে দেখতে।

বিষয়টি যেহেতু সমাজের সাধারণ মানুষকে বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রভাবিত করছে, সে ক্ষেত্রে জনস্বার্থ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই মনিটরিং বাড়াতে হবে। এসব বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছাড়াও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় এটি বিজনেস ট্রেন্ড হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু বিষয়ে আইনের সুস্পষ্ট বিধান নেই। কিন্তু ঐতিহ্য কিংবা ধর্মীয় অনুশাসন রয়েছে। এসব অশ্লীলতা বন্ধে ও দেশের সার্বিক কল্যাণে মনিটরিং করা দরকার। কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও দেখে না। অথচ প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটছে এসব ঘটনা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও অলিগলি-ফুটপাতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখছে কার্ড। সেসব কার্ড কুড়িয়েই যোগাযোগ করে আবাসিক হোটেলে যাচ্ছে শিক্ষার্থী ছাড়াও তরুণ-তরুণীরা। এসব কাজে জড়াচ্ছে মধ্য বয়সি নারী-পুরুষও। কখনো কখনো প্রতারণাসহ খুনখারাবির ঘটনা ঘটলেও বেশির ভাগ সময়ই সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই চলছে এ কার্যক্রম। শুধু ঢাকায় নয়, এ কার্যক্রম ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলা শহরেও। জেলা পর্যায়ের আবাসিক হোটেল থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের আটকের খবরও পুলিশ গণমাধ্যমে দিয়েছে একাধিকবার।

See also  বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে মাদক ও দেহ ব্যবসা জমজমাট

Source:: amarsangbad.com