মুন্সীগঞ্জে অবাধ দেহ ব্যবসা বন্ধের দাবিতে থানায় স্মারক

মুন্সীগঞ্জে অবাধ দেহ ব্যবসা বন্ধের দাবিতে থানায় স্মারক

ভাগ্যকুল ইউনিয়নের পূর্ব কামারগাঁও গ্রাম থেকে দেহ-ব্যবসা বন্ধের ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ১৩৩ জন্যের স্বাক্ষর করা একটি আবেদনপত্র শীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পূর্বকামারগাঁও গ্রামের কতিপয় আত্মীয়স্বজন মিলে দীর্ঘদিন যাবৎ নিজেদের বাড়িতে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে আসার প্রতিবাদ করায় হুমকী দেয়ার বিষয়ে শ্রীনগর থানায় জিডি নং ১২১৩ তারিখ: ২৬/১০/১৫ করা হয়েছে।

 

আবেদনপত্র হতে জানা যায় বিভিন্ন সময়ে তাদের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ দেহব্যবসা করতে নিষেধ করলেও তারা কোন ভাবেই তা গ্রাহ্য করছে না। তারা বিপথগামী তরুণ-তরুণীদের কাছে অসামাজিক কাজ করার জন্য ঘরও ভাড়া দেন। ফূর্তি করার জন্য অনেকে পরনারীকে নিয়েও এখানে আসে। খদ্দেরদের চাহিদা মোতাবেক পতিতাদের ভাড়ায় নিয়ে এসেও এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা কদম আলী মাস্তানের নামে ওয়াকফা করা জমিতে থাকা একটি ঘরকেও এসব অসামাজিক কাজে ব্যবহার করছে।

See also  কুমিল্লা জেলার আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা । Comilla Hotel Abasik Hotel

 

এখানে পতিতাদের কাছে প্রায়শই অপ্রাপ্তবয়ষ্ক কিশোরগণ যাতায়াত করে এতে সমাজ মারাত্মকভাবে নৈতিক অবক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। কোমলমতি কিশোরদের বিপথগামী করে তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি স্থানীয় লোকজন কয়েকজন খন্দেরকে ধরে র‌্যাব-১১ অফিসে সোপর্দ করেছে, তাদের মধ্যে প্রাণীমণ্ডল এলাকার একজন মেম্বারপ্রার্থীও রয়েছে। কিন্তু কোনভাবেই এ ব্যবসা তারা বন্ধ করছে না। বরং যারা এসবের প্রতিবাদ করছে তাদের ঘরে ইয়াবা, গাজা বা অন্য কোন অবৈধ জিনিস রেখে ফাঁসিয়ে দেয়ার হুমকী দিচ্ছে।

 

একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যেখানে অনেক গণ্যমান্য লোক বাস করে, অনেক সরকারি/বেসরকারি অফিস রয়েছে সেখানে এভাবে পতিতা ব্যবসা চালিয়ে গেলে সমাজে মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে, ছোটছোট ছেলে মেয়েরা বিপথগামী হয়ে পরবে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন- শাহ আলম সরদার সেন্টু, পারভেজ কবীর, আব্দুল হাই মেম্বার, আ. রব বেপারী, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সরদার, জিএম খালিদ, আ. খালেক সারেং, ইউসুফ বেপারী, মুক্তিযোদ্ধা গাজী আ. লতিফ, বিশ্বজিৎ ঘোষ প্রমুখ।

See also  শরিয়তপুর জেলার দেহ ব্যবসা - Shariatpur District Deh Bebsa

Source:: https://amarbikrampur.com/