সৌদি আরবে দেহ ব্যবসার ঠিকানা বা পতিতা কোথায় কোথায় পাওয়া যায়

সৌদি আরবে দেহ ব্যবসার ঠিকানা বা পতিতা কোথায় কোথায় পাওয়া যায়

সৌদি আরবে দেহ ব্যবসার ঠিকানা বা পতিতা কোথায় কোথায় পাওয়া যায়

এবার ‘হালাল পতিতালয়’ চালু করল সৌদি আরব!

মুসলিম খদ্দেরদের জন্য ধর্মীয় অনুশাসনের সীমার মধ্যে থেকে পতিতালয় চালু হয়েছে সৌদি আরব, মালিকপক্ষ যাকে ‘হালাল’ যৌনালয় বলে দাবি করছেন। দেশটির রেড লাইট এলাকায় ‘হট ক্রিসেন্ট’ নামের বারটি সম্প্রতি চালু হয়েছে। হালালভাবে যৌনবৃত্তি চরিতার্থ করার উপায় খুঁজে বের করতে তিনজন আধুনিক মনস্ক ইমামের (ধর্মীয় নেতা) পরামর্শ নিয়েছেন বারের মালিক জনাথন সুইক।

পরামর্শ অনুযায়ী, সেখানকার পতিতাদেরকে মাদক সেবনে বাধ্য করা হবে না। ইসলামের নিয়মানুযায়ী দিনে পাঁচবার নামাজও পড়বে তারা। আর খদ্দেরদেরকেও তাদের সঙ্গে ইসলামসম্মত ভাবেই যৌনসম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। কিন্তু বিয়ে ছাড়া নারী-পুরুষের যৌন সংসর্গ ইসলাম সম্মত হবে কিভাবে? ইমামের সঙ্গে পরামর্শ করে এরও একটা সমাধান বের করেছেন হোটেল ব্যবসায়ী জনাথন।

ইস’লামের শিয়া সম্প্রদায়ের মাঝে প্রাপ্তবয়স্ক যুগলের প্রণোদনার জন্য ‘মুতা বিয়ে’ নামের একধরনের অস্থায়ী বিয়ে প্রচলিত আছে। শিয়া সমাজে ওই ধরনের চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে স্বীকৃত এবং ধর্মীয় আইনসিদ্ধ। হোটেলে যৌনসঙ্গী সরবরাহের ক্ষেত্রে মুতা বিয়ের (বিনোদনের জন্য বিয়ে) ওই নিয়মই অনুসরণ করা হচ্ছে।

‘মুতা বিয়ে’র ক্ষেত্রে যুগলজীবনের সময়সীমা বিয়ের আগেই ঠিক করা হয় এবং সময় পার হওয়ার পর আপনা থেকেই বিয়ের সমাপ্তি ঘটে। তবে ইচ্ছানুযায়ী পুনরায় বিয়ে করা যায় এবং অর্থ প্রদানের বিষয়টিও ঘটতে পারে, যেমনটি একজন স্বামী তার স্ত্রীকে দিয়ে থাকেন।

হট ক্রিসেন্ট বারের হালাল পতিতাদেরকে প্রতি দুই মাস পর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়, যাতে করে গ্রাহকরা যৌনসংসর্গের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে না এবং কেউ অপরাধবোধেও ভুগবে না বলেই প্রত্যাশা হোটেল মালিকের।

সৌদি আরবে পতিতাবৃত্তি একটি অবৈধ জীবিকা। প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বপ্রকারের পতিতাবৃত্তি এই ইসলামী দেশটিতে নিষিদ্ধ ও একটি অপরাধ। পতিতাবৃত্তি ধরা পড়লে বিচারে কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে গোপনে পতিতাবৃত্তি চালু আছে মর্মে জানা যায়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী পতিতাদের বেশিরভাগই নাইজেরিয়া থেকে আগত নারী। এছাড়াও ইথিওপিয়া, ইয়েমেন, মরক্কো, পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তান থেকে আগত কিছু নারী পতিতাবৃত্তিতে জড়িত।

See also  ফরিদপুর শহরের পতিতালয় | যৌন পল্লী পরিচিতি । Faridpur Potitaloy in Bangladesh

পতিতাবৃত্তির শাস্তি ছিলো কারাদণ্ড এবং বেত্রাঘাত। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে সৌদি সুপ্রিম কোর্ট জেনারেল কমিশনের আদেশে বেত্রাঘাতের শাস্তি বাতিল করা হয়েছিল এবং এখন এটি জেল বা জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ। বিদেশি নাগরিকদেরও শাস্তির পর দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয় যদি কোন পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যভিচার এবং যৌন অপরাধের অভিযোগ আনা হয়, তা পতিতা এবং তার মক্কেল উভয়েরই শাস্তি হতে পারে যেহেতু সেখানে বৈধ বিবাহ ব্যতিরেকে সমস্ত যৌন কার্যকলাপ অবৈধ এবং সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

ধর্মীয় পুলিশ বেত্রাঘাতের দায়িত্ব পালন করে। পতিতাদের প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত করা হতে পারে। এর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বেত্রাঘাতের ফলে মৃত্যু হয়েছে। তবে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বেত্রাঘাতের শাস্তি বাতিল করা হয়ে এবং শাস্তি জরিমানা ও জেল এ সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল। সৌদি ভাইস পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হওয়া বিদেশী পতিতাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়।

২০০৭ সালের জুন মাসে, ৮০ জন নারীকে পতিতাবৃত্তির জন্য এবং ২০ জন পুরুষকে পাচার বা দালালীর বিচারের আনা হয়েছিলো।

মিসইয়ার বিয়ে পতিতাবৃত্তি রোধে প্রায়ই এটি সালাফি আইনের অধীনে যৌন আনন্দের জন্য একটি বৈধ আইনি সম্পর্ক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। সম্পর্কটি একটি সাধারণ বিয়ের মতো, তবে স্বামীকে স্ত্রীর জন্য থাকার জায়গা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না এবং কিছু ক্ষেত্রে তিনি স্ত্রীর মাসিক খরচ বহন করার জন্য দায়বদ্ধ থাকে না। তবে অন্যান্য কিছু ইসলামিক নিয়ম মেনে নিতে হয়। সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি, শায়খ আবদুল আজিজ আল-শাইখ এবং ৬০ জন আলেম তাদের ফতোয়ায় মিসইয়ারকে সমর্থন করেছেন। মিসিয়ার নিকাহ মুতাহ (শিয়া ইসলাম) থেকে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে যে সম্পর্কের সময় উল্লেখ করা হয় না। তবে বিবাহ চুক্তিতে দুইজন সাক্ষী লাগে।