সেক্স ভিডিও সুটিং কিভাবে করা হয় বিস্তারিত জেনে নিন

সেক্স ভিডিও সুটিং কিভাবে করা হয় বিস্তারিত জেনে নিন

সেক্স ভিডিও সুটিং কিভাবে করা হয় বিস্তারিত জেনে নিন

সবই সত্য নয় আবার সবই কম্পিউটার ব্যবহার করা নির্মিত পর্নোগ্রাফিও নয়। আবার সবই ভুলও নয়। আমি যতটুকু জানি, পর্নোগ্রাফিতে বেশ কিছু চিত্র বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বাস্তবে প্রায় অসম্ভব। যেমন

১। মেয়েদের দেখানো হয়, তারা খুব উৎসুক বা তারা সহবাসে বেশ তৃপ্তি বা আনন্দ পাচ্ছে। বাস্তব হলো, মেয়েদের যৌন চাহিদা ৩ ভাগের ১ ভাগ মাত্র। তা ছাড়াও মেয়েদের প্রায় ৭০% দৈহিক মিলনে রাগ মোচন হয় না। যদি রাগ মোচন না হয়, তাহলে তৃপ্তি আসবে কিভাবে?

২। পর্নোগ্রাফির খুব সাধারণ ক্রিয়া এবং দৃশ্য হলো, পুরুষাঙ্গ সরাসরি প্রবেশ করানো। বাস্তবতা হলো, সরাসরি যদি পুরুষাঙ্গ প্রবেশ করান, তাহলে সেই মেয়ে অত্যাধিক ব্যথা পায়। সে স্থানে পর্নোগ্রাফিতে দেখানো হয় মেয়েটি খুবই উপভোগ করছে।আপনিই ভাবুন, যেখানে মেয়ে ব্যাথা পায়, সেখানে কিভাবে সেই মেয়ে আনন্দ উপভোগ করে?

See also  মহাদেশ গুলোর নামকরন কিভাবে হল ? How Did The Continents Get Their Names

৩। পর্নোগ্রাফির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুরুষ সম্পর্কে। সেখানে দেখানো হয়, যেই পুরুষের পুরুষাঙ্গ যত বড়, সঙ্গিনী তত বেশি যৌন তৃপ্তি পায়। অথচ, গড়ে মেয়েদের G spot (যত টুকু জানি এখনো এ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে) এর অবস্থান ৩ ইঞ্চি। সে ক্ষেত্রে দৈর্ঘ্যে আপনার পুরুষাঙ্গ ৪ ইঞ্চি হলেই যথেষ্ট (ব্যতিক্রম ব্যতীত)।

৪। ব্যতিক্রম ব্যতিত একজন পুরুষ গড়ে ৩ মিনিট তার বীর্য আটকিয়ে রাখতে পারে। সেখানে পর্নোগ্রাফিতে দেখানো হয় ১০/১৫/৩০ মিনিট যেন কিছুই না। যেখানে একবার বীর্য নির্গত হবার পর পুরুষাঙ্গে কিছুক্ষনের জন্য শিথিলতা আসে, সেখানে পর্নোগ্রাফিতে তার কোন প্রভাবই দেখায় না। আর এতে বাস্তব জীবনে পুরুষ মনে করে অক্ষম, সাথে সঙ্গিনীও মনে করে তার সঙ্গীর লিঙ্গে সমস্যা। আর সাথে শুরু হয় সাংসারিক কলহ।

See also  পুরুষ শরীরে কিসের খোঁজে পাগল হয়ে যায় মেয়েরা!

৫। পর্নোগ্রাফির অন্যতম ভয়ঙ্কর যে বিষয়টি তা হলো, একটি নারীর সাথে অধিক পুরুষ। অর্থাৎ, একজন নারীর সাথে একই সময় দুই/তিন/চার জন পুরুষের সহবাস করছে আর সেই মেয়ে তা উপভোগও করেছে। বাস্তবে যা অসম্ভব।কারণ এতে মেয়ে যেই পরিমান ব্যাথা অনুভব করবে তাতে উপভোগের কোন সুযোগই থাকে না।ব্যাক্তিগতভাবে ,কেন যেন মনে হয় গণ ধর্ষণের জন্য এই ধরণের ভিডিও একটি কারণ। তা ছাড়াও সেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েদের এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয় , যেন তারা সেক্সই চায়। আরো ভয়ংকর উপস্থাপন কি তা জানেন? কিছু দৃশ্য এমন দেখানো হয় যে, মেয়েরা প্রথমে বাধা দেয়, কিন্তু যখন উত্তেজনাময় বিশেষ অঙ্গে স্পর্শ বা কোন ভাবে উত্তেজিত হয়, তাহলে তারা নিজেরাই সহবাসে অনুমতি প্রদান করে । এগুলি কি ধর্ষণে উৎসাহিত করে না?

See also  আঙ্গুল দেখে লিঙ্গের বা পেনিসের সাইজ জানার উপায়

সাথে আরো রয়েছে উত্তেজনা বসত অঙ্গভঙ্গি বা মুখ দিয়ে উচ্চারিত কিছু শব্দ অতিরঞ্জিত ভাবে উপস্থাপন করা হয়, যা বাস্তবিক অর্থে ভুয়াই বলা যায়(ব্যতিক্রমও হয়, তবে এর হার খুবই কম)।পর্নোগ্রাফিতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অন্যকেউ ভিডিও করে থাকে। ছোটকালে ভাবতাম বিয়ার গ্রিলস একাই বনে জঙ্গলে যেত আর একাই ভিডিও ধারণ করতো । বেশিরভাগ পর্নগ্রাফি অমনই দেখবেন। মূলত ভিউ বাড়ানোর জন্য এমনটি করা। আসা করি আপনার উত্তর পেয়েছেন। ধন্যবাদ।