আমি ছেলে পতিতা হতে চাই কিভাবে হবেন জেনে নিন ?

আমি ছেলে পতিতা হতে চাই কিভাবে হবেন জেনে নিন ?

নারী-শরীর বিক্রির বাজার আছে, সেই বাজারে বিক্রিও বেশি। নারী যৌ*ন*তার জন্য শরীর বিক্রি ভাবলেই তাঁর বাজার সর্বদাই মজুত। বাজার ছোটো হলেও পুরুষ-শরীরও বিক্রি হয়। আকাশচুম্বী বেকারত্বের মোকাবিলা করতে যৌ*ন*পেশাই এখন একটা পথ অবশ্যই। বাজারে বেশিরভাগ অর্থ পুরুষদের হাতে। তাই নারী-শরীর কেন, সেই পুরুষ পৃথিবীর সবকিছুই কিনে নিতে পারে যে-কোনো মূল্যে। যেহেতু অর্থবান নারীর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অত্যন্ত কম, সেইহেতু পুরুষ-শরীরের বাজার তেমন রমরমিয়ে উঠতে পারেনি। তবে নারী যত বেশি বেশি করে আর্থিক বাজারের সঙ্গে যুক্ত (স্বাধীনভাবে বা পরাধীনভাবে, যেভাবেই হোক) হবে, ততই পুরুষ-যৌ*ন*ক*র্মীদের বাজার চাঙা হবে। তবে বর্তমানে ধনীঘরের এক শ্রেণির মহিলারা স্বামীর অর্থে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীর কাছে যৌ*ন*সুখ কিনছে।

আসুন, এবার পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের হালহকিকৎ জানার চেষ্টা করি। পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের ‘গ*ণি*কা’ বা ‘বে*শ্যা’ বা ‘প*তি*তা’ বলা যাচ্ছে না। কারণ এই বিশেষণগুলির সবকটাই স্ত্রীলিঙ্গ। বর্তমানে একটি নতুন বিশেষণ চালু হয়েছে, সেটি হল ‘যৌ*ন*ক*র্মী’ (S*e*x Worker)। এটি একটি ইউনিসে*ক্স পরিচয়। এই পরিচয়ে মহিলা, পুরুষ, সমকামী সকলেই অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। ব্যাপারটা আর লিঙ্গভিত্তিক থাকল না।

প্রত্যেকদিন সাহসী হচ্ছে বিশ্ব। আসলে নতুন কিছুই নয়–নগ্ন হয়ে জীবনযাপন করা থেকে শুরু করে বিবাহ বহির্ভূত যৌ*ন*তা এবং যৌ*ন*পেশা। সবই ছিল, সবই আছে এবং সবই থাকবে। ভণ্ডামির মধ্যেও থাকবে। যৌ*ন*তার ক্ষেত্রে তো অবশ্যই। আর এক্ষেত্রে মহিলাদের পাশাপাশি পুরষরাও আসছে যৌ*ন*পেশায়। গ*ণি*কাবৃত্তি মহিলাদের জন্য আর একচেটিয়ে থাকছে না। মহিলাদেরও প্রয়োজন হচ্ছে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীদের সঙ্গ। অতৃপ্ত দাম্পত্য অথবা অতি দেরিতে বিয়ে করার বা হওয়ার কারণেই এই প্রয়োজনীয়তা। বিশেষত বিশ্বের প্রথম দেশগুলিতে তো বটেই। তৃতীয় বিশ্বের মহিলারাও যৌ*ন*তার সুখ খুঁজতে পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী ভাড়া করে জীবন উপভোগ করা শুরু করেছে। Women who pay for S*e*x’ শিরোনামে বিবিসি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। সাংবাদিক হান্নাহ বারনেসের লেখা ফিচারধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে এমন অনেক মহিলা আছেন যারা বার কিংবা নাইট ক্লাবে গিয়ে পুরুষ সঙ্গী খোঁজা পছন্দ করেন না।

See also  ২০২৩ সালে বিয়ের জন্য বিশেষ তারিখ সমূহের তালিকা

নিকোল জানান, “মহিলা ক্লা*য়ে*ন্টরা নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতে চান। এটা তাঁদের নিজস্ব পৃথিবী, এই গোপনীয়তা তাঁদের জীবনেরই অংশ।” পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মীরা জানেন তাঁদের কাছে আসা মহিলারা অবিবাহিত বা একাকী নন। এমনই একজন পুরুষ যৌ*ন*ক*র্মী জানাচ্ছেন, “কিছু মহিলা মনে করেন যৌ*ন*তার জন্য অর্থ ব্যয় কোনো অপরাধ নয়। এটি প্রেম বা অন্যান্য সম্পর্কের মতোই স্বাভাবিক ব্যাপার।” যেসব মহিলার বয়ফ্রেন্ড বা স্বামী আছে, তাঁদের জন্য বারে কিংবা অন্য কোনো প্রকাশ্য জায়গায় অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গ খুবই বিপদজ্জনক। নিকোলের মতে, ‘তাঁদের জন্য এমন জায়গা দরকার যেখানে প্রতিবেশী বা পরিচিত কেউ তাদের দেখে ফেলবে না। সেজন্যে তাঁর তৈরি বাড়ি ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়। অনেক মহিলাই আসেন, যাঁরা যৌ*ন*সুখ খোঁজেন। সেরা যৌ*ন*সুখটির খোঁজে তাঁরা যথেচ্ছ অর্থ ব্যয় করে, চলে অবাধ যৌ*ন*তা। সেরা যৌ*ন*সুখের অনেক ভাগ্যবতী মহিলাদের অর্থও ব্যয় করতে হয় না। কোনো পছন্দের পুরুষকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সেই পুরুষটির সঙ্গে স্বেচ্ছায় অবাধ যৌ*ন*সঙ্গম করে নেয়।