সিদ্ধিরগঞ্জে সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শনের আড়ালে পতিতা দিয়ে দেহ ব্যবসা

সিদ্ধিরগঞ্জে সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শনের আড়ালে পতিতা দিয়ে দেহ ব্যবসা

সিদ্ধিরগঞ্জে রংধনু সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শনের আড়ালে পতিতা ব্যবসা

এ ব্যাপারে জয় জানায়, দর্শক না থাকলেও যথা সময়ে ছবি প্রদর্শন করতে হচ্ছে। হলে পতিতার প্রবেশ বিষয়ে তিনি বলেন, মেয়েই ছবি দেখতে আসে। কে পতিতা, কে ভালো মেয়ে তা আমার দেখার বিষয় না। এ বিষয়ে মিলন জানায়, হলে পতিতার বিষয়ে আমার কোন বলার নাই। এসব দেখে শালক জয়। পতিতা ব্যবসা প্রসঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্তম কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্ত করে অপরাধ প্রমানিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

সিদ্ধিরগঞ্জের আটি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ শিমরাইল সড়কের পাশে অবস্থিত রংধনু সিনেমা হলের রয়েছে ৭ জন মালিক। আটি এলাকার মৃত হারুন-অর-রশিদ, গোদনাইল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান, মুসলিমসহ ৭ জন মালিক রংধনু হলের। হারুন-অর- রশিদ জীবিত থাকা কালে উক্ত হলের ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন ময়মনসিংহের বাসিন্দা হোসাইন কবির মিলন। এ সুযোগে মিলন মৃত হারুনের পরিবারের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে তার মেয়ের সাথে প্রেম করে। এক পর্যায়ে মেয়েকে বিয়ে করে হলের পুরো দায়িত্ব নিয়ে নেয় মিলন। এরপর থেকে মিলনের ইচ্ছায় হল পরিচালিত হতে থাকে। এরপর হারুন-অর রশিদ মৃত্যু বরণ করিলে মিলনের আধিপত্য আরও বৃদ্ধি পায়। মিলন তার আয় বৃদ্ধি করতে হলে ছবি প্রদর্শনের পাশাপাশি নীল ছবি প্রদর্শন করতে থাকে। প্রশাসন অভিযান চালালে কিছু দিন বন্ধ রাখে সুচতুর মিলন। এর কিছুদিন পর থেকে ছবি প্রদর্শনের আড়ালে পতিতা দিয়ে দেহ ব্যবসা করতে থাকে। এবিষয়টি আইন শৃংখলা বাহিনীর নজরে আসলে কৌশলে তার শ্যালক জহিরুল ইসলাম জয়কে দায়িত্ব দিয়ে শটকে পড়ে মিলন। বর্তমানে জয়ের তত্বাবধানেই নিয়মিত দেহ ব্যবসা চলছে হলের অভ্যন্তরে। রাস্তার পাশে হলেও যেন দেখার কেউ নেই। প্রশাসনসহ সকলকে ম্যানেজ করে দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছে ছবি প্রদর্শনের আড়ালে দেহ ব্যবসা।

See also  নিশি-কন্যাদের (পতিতাদের) রাতের ঢাকা কেমন? Meye Vara life