রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে পুলিশ এক গৃহবধূকে (২০) উদ্ধার করেছে। তার বাড়ি গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানা এলাকায়।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ও বাসন থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে পল্লীর শিরিন বাড়িওয়ালীর বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে। বাড়িওয়ালী তাকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করাত বলে জানা গেছে।
তবে এ ঘটনায় জড়িত বাড়িওয়ালী শিরিন বা অন্য কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
বুধবার বিকাল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ বিষয়ে বাসন থানায় মানবপাচার আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
এ বিষয়ে বাসন থানার এসআই ফারুক হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ওই গৃহবধূ গত মাসের ১১ তারিখ নিখোঁজ হন। তিনি দরিদ্র স্বামীর সংসারে সহযোগিতার জন্য গার্মেন্টসে চাকরি খোঁজার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন।
এরপর পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়েন। এ ঘটনায় তার স্বামী গত মঙ্গলবার বাসন থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং তার স্ত্রী পাচারের শিকার হয়ে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে আটকে রয়েছেন বলে আমাদের জানান।
বিষয়টি নিয়ে তৎক্ষণাৎ আমাদের থানার ওসি মো. মালেক খসরু গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে তার সহযোগিতা চান। সেই অনুযায়ী আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোয়ালন্দের দৌলতদিয়ায় পৌঁছাই। পরে সেখানে থাকা গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে পল্লীর শিরিন বাড়িওয়ালীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করি। তবে এ সময় বাড়িওয়ালী সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় বাসন থানায় মানবপাচার আইনে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাসন থানা এবং আমাদের থানা পুলিশের একটি টিমের যৌথ প্রচেষ্টায় ওই গৃহবধূকে পল্লী থেকে উদ্ধার করা হয়। আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও আমাদের সহযোগিতা লাগলে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
Source:: https://www.jugantor.com/country-news/462944/