চাঁদপুরের আবাসিক হোটেলগুলোতে প্রতিদিন চলছে অনৈতিক কাজ। পবিত্র মাহে রমজানের মধ্যেও বন্ধ হয়নি তাদের অবৈধ বাণিজ্য। আবাসিক হোটেলগুলোতে প্রশাসনের দৃষ্টি না থাকায় মাদকসেবী, ইয়াবা ব্যবসায়ী, চোর ও ছিনতাইকারীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের ভাসমান পতিতারা তাদের খদ্দের নিয়ে হোটেলগুলোতে অবস্থান করতে দেখা যায়। এছাড়া উঠতি বয়সের স্কুল কলেজের পড়ুয়া মেয়েদের বখাটে যুবকরা প্রেমের ফাঁদে ফেলে হোটেলে নিয়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। আবার কখনো কখনো বখাটে যুবকরা তাদের মোবাইলে মেয়েদের আপত্তিকর অবস্থায় ছবি ধারণ করে প্রতারণা করার চেষ্টা করে। চাঁদপুর শহরের জে এম সেনগুপ্ত রোডের হোটেল শেরাটন, সরকারি কলেজের সামনে হোটেল আকবরী, ষোলঘর বিটি রোড হোটেল আল রাশিদা ও আল রাজিব হোটেলে প্রতিদিন চলছে এসব অনৈতিক কার্যক্রম।
সম্প্রতিকালে বিটি রোডের হোটেল আল রাজিব থেকে বেশ কয়েকবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুর রহমান পুলিশ ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে পতিতা খদ্দেরসহ হোটেল ম্যানেজার আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করেছেন। বিটি রোডের স্কুল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক জানায়, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত পর্যন্ত হোটেল আল রাজিবে অনৈতিক কার্যক্রম চলে আসছে। বখাটে যুবকরা হোটেলের নিচে বসে থেকে মেয়েরা স্কুলে যাওয়ার পথে উত্তপ্ত করে। এছাড়া এ হোটেলে মাদকসেবী, ইয়াবা ব্যবসায়ী, চোরও ছিনতাইকারীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে। বিটি রোডের বেশ কয়েকজন দোকানদার জানায়, আল রাজিব হোটেলের ম্যানেজার বলাখালের কৈয়ারপুলের আবুল কালাম চাঁদপুরসহ অন্যান্য জেলা থেকে সুন্দরী পতিতাদের এনে হোটেলে রেখে রমরমা দেহ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া সে মোবাইলে স্কুল, কলেজ পড়–য়া মেয়েদের পটিয়ে হোটেলে এনে কৌশলে অনৈতিক কাজ করাতে বাধ্য করে। এ ধরণের বেশ কিছু ঘটনা ঘটার পর স্থানীয়রা হোটেল মালিক মোস্তফাকে জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। বরং হোটেল মালিক মোস্তফা ম্যানেজার আবুল কালামকে দিয়ে এ ধরণের কাজ করতে সহায়তা করে। এ ব্যাপারে হোটেল মালিক মোস্তফার কাছে জানার জন্য গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
চাঁদপুরে হোটেলগুলোতে অনৈতিক কার্যকলাপ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।
Source:: https://chandpurnews.com/