রামগতিতে মিনি পতিতালয়

রামগতিতে মিনি পতিতালয়

লক্ষীপুরের রামগতিতে মিনি পতিতালয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায় রামগতি পৌরসভার শিক্ষাগ্রামে প্রশিকা ভবন এর পিছনে এবং তৎসংলগ্ন কৃষিব্যাংকের ক্যাশিয়ার আবদুর রবের ঘরে এই পতিতালয় গড়ে উঠেছে বলে জানা যায়। সংঘবদ্ধ নারী লোভী চক্রের মাধ্যমে ওই পতিতালয় গড়ে উঠেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় এখানে মক্ষিরানীর ভূমিকায় রয়েছেন লম্ভাখালীর বেপারী বাড়ীর মৃত মহি উদ্দিনের স্ত্রী বর্তমানে সেলিম দালারের স্ত্রী মমতাজ। মমতাজ এলাকায় অসংখ্য মহিলার স্বর্ণ অলংকার ও টাকা পয়সা নিয়ে প্রতারণা এবং অসংখ্য নারীর চরিত্র নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তার সাথে রয়েছে পলির মা, অজ্ঞাত পরিচয় আরেক মহিলা, কৃষিব্যাংকের ক্যাশিয়ার আবদুর রবের বাসায় রয়েছে পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের তালুকদার বাড়ীর মেয়ে এবং চর আলগী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মো: হারুনের স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা।
এই পতিতারা নিজেরা দেহ ব্যবসা করে আবার বিভিন্ন উঠতি বয়সী তরুনীদের এবং গৃহবধুদের নানান প্রলোভনে তাদের ঘরে এনে খদ্দেরদের কাছে বিক্রি করে। কেউ রাজি না হলে তাকে কৌশলে নানান ফাঁদে ফেলে রাজি করে। আবার কাউকে ব্লাক মেইল করে এ পেশায় আসতে বাধ্য করে।
আবদুর রব ক্যাশিয়ারের বাসায় ভাড়া থাকা রাবেয়া সুলতানার রয়েছে দুই স্বামী। দুজন আবার একসাথে বসবাস করেন। একজন হলেন সামাজিক ভাবে বিয়ে হওয়া প্রবাসী স্বামী হারুন আরেকজন বোন পরিচয় দেওয়া ইয়াবা ব্যবসায়ী ও ইয়াবাখোর জাফর। জাফরের সাথে রাবেয়ার পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি প্রকাশ্য। তাদের পরকীয়া প্রেম নিয়ে রয়েছে বিস্তর কাাহিনী। এই পরকীয় প্রেমের কারণে জাফরের ১ম স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দেয়। সেখানে জাফরের ২য় শ্রেণীতে পড়–য়া এক ছেলে রয়েছে।
গত কয়েকদিন আগে জাফরকে তার পরকীয়া প্রেমিকা রাবেয়াকে নিয়ে পালিয়ে যায়। হারুন এ ঘটনায় বাদী হয়ে ঘর মালিক আবদুর রব, জাফর ও রাবেয়া সহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে গত ২৭ জুলাই থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। রাবেয়ার ঘরে হারুনের লাবন্য (৫) নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ বিষয় হারুন বলেন আমার স্ত্রী, কন্যা ও বিপুল পরিমান অর্থ নিয়ে জাফর পালিয়ে যায়। অনেক খোজাখুজি করে তাদের সন্ধান না পেয়ে থানায় জিডি করি।
এ বিষয়ে ঘর মালিক আবদুর রব জানান আমার কাছে আদালত এলাকার জাফর নামের এক ছেলে তার বোন পরিচয়ে ঘর ভাড়া নেয় পরে জানতে পারি এক নারীর দুই স্বামী।
পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ মূর্তজা আল আমিন বলেন আমি শুনেছি ঐ যায়গায় এ ধরনের অসামাজিক কাজ চলে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে সত্যতা পেলে আইনের মাধ্যমে তা মোকাবিলা করা হবে।
রামগতি থেকে উধাও ্এনজিও প্রশিকায় বুয়ার কাজের বেশে থাকা পলির মা মূলত পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত। জানা যায় তার ১ম স্বামীকে পাত্তা না দিয়ে প্রশিকার নাইট গার্ড কাম কুকার ফারুকের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে এখানে থেকে যায়। এখানে থেকে রিকসা শ্রমিক মানু সহ কয়েকজনকে বিয়ে করতে চায় পলির মা। উধাও ্এনজিও প্রশিকার কয়েকটি রুম প্রতি রাত্রীর জন্য বিভিন্ন লোকের কাছে ভাড়া দিতো ফারুক। সেই ভাড়াটিয়াদের মনোরঞ্জনের জন্য পলির মা ছিলো ফারুকের ভরসা। বর্তমানে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে কয়েকটি রুমভাড়া রয়েছে প্রশিকার। সেই লোকজন দিয়ে চলছে ফারুকের মিনি পতিতালয়।
ফারুকের আরেকটি বাসায় ভাড়া রয়েছেন অজ্ঞাত পরিচয়ের আরেক মহিলা। তার কথিত দ্বিতীয় স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে সেও দেহ ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছেন বলে এলাকাবাসী জানায়।
এ সমস্ত পতিতাদের স্থায়ী খদ্দের হিসেবে রয়েছে বাসা ভাড়া থাকার সুযোগে এছলাম চৌকিদার বাড়ীর শাহীন (মডেল প্রাথমিকের সামনের সিমেন্টের দোকান), মুন্সি বাড়ীর সায়েদল হক মাষ্টারের ছেলে সাইফুদ্দিন ( হাফেজ সাইফুদ্দিন) , পৌর ৮ নং ওয়ার্ডের শাহে আলমের ছেলে ষ্টীল দোকানদার মেজবাহ, ঘর মালিক ফারুক সহ বেশ কয়েকজন। এছাড়াও এখানে পরিচিত অপরিচিত অসংখ্য লোক দিনে রাতে আসা যাওয়া করে বলে এলাকাবসীর জানায়।
এলাকার প্রতিবাদী যুবকরা জানায় আমাদের অজান্তে গড়ে উঠা এই মিনি পতিতালয় অচিরেই উচ্ছেদ না করলে পরবর্তী ঘটনা প্রবাহের জন্য প্রশাসন দায়ী থাকবে।
সচেতন মহল প্রকাশ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে প্রশাসনের নাকের ডগায় এধরনের অসামাজিক কাজ যুব সমাজকে গভীর অন্ধকারে ঠেলে দেবে তাই অচিরেই তাদের ও খদ্দের এবং দালালদের উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলে দাবী করে।

See also  নোয়াখালীর আবাসিক হোটেলে মেয়ে দিয়ে দেহ ব্যবসা । Noakhali Bebsa

Source:: https://pruasnews.com/