গাবতলী ও মিরপুরের আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রকাশ্যেই চলছে রমরমা দেহব্যবসা!

গাবতলী ও মিরপুরের আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রকাশ্যেই চলছে রমরমা দেহব্যবসা!

রাজধানীর মিরপুর ও গাবতলীর বেশ কিছু চিহ্নিত আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই চলছে দেহব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ । এসব কর্মকান্ড অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ হলেও পুলিশ বলছে এসবের তথ্য নেই তাদের কাছে।

তবে  অনুসন্ধান বলছে ভিন্নকথা,  মিরপুর এক নম্বরের বাগদাদ,ডায়মণ্ড,টাইম স্টার,গোল্ড স্টার,শাহ আলী,প্রিন্স হোটেলসহ গোটা মিরপুরের প্রায় সবগুলিই হোটেলেই কমবেশি অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে প্রশাসনের নাকের ডগাতেই।

এই আবাসিক হোটেল গুলোতে একজন নারীর সাথে রাত কাটাতে হলেও গুনতে হয় কয়েক গুণ ভাড়া। বেশি অর্থ উপার্জনের লোভেই হোটেল মালিকদের এই জঘন্য কাজে লিপ্ত করেছে।

ঢাকার বেশীর ভাগ আবাসিক হোটেলগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হচ্ছে নারীর দেহ ব্যবসা। একবাক্যে হোটেলগুলোকে বলা যায় মিনি পতীতালয়। হোটেল কর্তৃপক্ষ অনেকেই হুঙ্কার দিয়ে জানান, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। জানা যায়, দেহ ব্যবসার জন্য প্রতিমাসে প্রশাসনের কিছু অসৎ সদস্যদের বড় অংকে উৎকোচ দিয়েই নির্বিঘ্নে চলে এই অনৈতিক কার্যকলাপ। আরও রয়েছে নামধারী সাংবাদিক, স্থানীয় নেতা ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। ঢাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশী দেহ ব্যবসার প্রসার ঘটেছে গাবতলী, মতিঝিল,ফার্মগেইট, মোহাম্মদপুর, গুলিস্থান, পল্টন, পুরান ঢাকার আবাসিক হোটেলগুলোতে।

See also  রাজধানীর চার শতাধিক আবাসিক হোটেল, অসংখ্য ফ্ল্যাট জমজমাট ‘সেক্স ট্রেড’ এইডস ঝুঁকি বাড়ছে

এদিকে গাবতলীর আবাসিক হোটেল মধুমতি, হোটেল চৌধুরী, হোটেল বলাকা, হোটেল রোজ হ্যাভেন , মীরপুর ১০ নাম্বার কাজী পাড়ায় জমজম হোটেলের ৩য় তলা থেকে ৫ম তলা পর্যন্ত প্রতিটি রুমে বিভিন্ন সাজে মেয়েরা খদ্দেরের অপেক্ষায় রয়েছে। এখানে দুই শিফটে মেয়েরা দেহ ব্যাবসা করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খরিদদার  আসছে। পতিতা-দের  নিয়ে রাত্রি যাপনের জন্যেও রয়েছে নিরাপদ ব্যবস্থা। এসব অবৈধ কারবারিদের সাথে সখ্যতা রয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সন্ত্রাসীদের। ফলে এই বিষয়ে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, এসব হোটেলে  দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদক বেচাকেনা, জুয়া খেলা, সন্ত্রাসীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রফাদফার মত কাজও চলছে।

See also  টাঙ্গাইল আবাসিক হোটেল ও পতিতাপল্লী দেহ ব্যবসা ভিডিও । Tangail Kanda Para polli video

নিয়মানুযাী হোটেলে যে কোনো বর্ডারের আগমন হলে তাদের সঠিক ঠিকানা যাচাই করে তাদের রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ করা ও ছবি তুলে রাখার কথা থাকলেও অভিযুক্ত হোটেল কতৃপক্ষ মানছে না এই নিয়ম। এছাড়াও কয়েকটি হোটেলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের পাশাপাশি চলছে রমরমা মাদক বানিজ্য।

সম্প্রতি মিরপুর ১ নম্বরস্থ ডায়মন্ড আবাসিক হোটেলের একটি রুমে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে দারুসসালাম থানা পুলিশ। হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলো,স্বামী স্ত্রী সেই রুমটি ভাড়া নিয়েছিলো। সেই দিন বিকেলেই অজ্ঞাত কারনে স্ত্রী তার স্বামীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশি তদন্তে  প্রকৃত ঘটনা যখন সামনে আসে তখন জানা যায়,আসলে তারা স্বামী স্ত্রী নয়। মেয়েটি একটি পতিতা। টাকার বিনিময়ে হোটেল কর্তৃপক্ষই ওই ব্যাক্তিকে পতিতাসহ রুম ভাড়া দিয়েছিলো। পরে সেই নিহত যুবকের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হতে অনেক কাঠখোট্টা পোড়াতে হয়েছিলে পুলিশকে।

See also  বলিউডের যেসব নায়িকারা দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত

এবিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের দারুসসালাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, এই বিষয়ে আমার কাছে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই। কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নেই। তবে আমার থানা এলাকায় এধরণের অপ্রত্যাশিত কার্যক্রম চলতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে..

Source:: https://www.somoyerkonthosor.com/2019/07/30/366582.htm