কুমিল্লায় কোথায় মেয়ে বা পতিতা ভাড়া পাওয়া যায় ও দেহ ব্যবসায়ীদের বা পতিতাদের মোবাইল নাম্বার জেনে নিন

কুমিল্লায় কোথায় মেয়ে বা পতিতা ভাড়া পাওয়া যায় ও দেহ ব্যবসায়ীদের বা পতিতাদের মোবাইল নাম্বার জেনে নিন

কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনম্যান হতে পদুয়ার বাজার বিশ্ব রোড পর্যন্ত ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কে গড়ে উঠেছে অসংখ্য দেহ ব্যবসার স্পর্ট । নামে বে নামে গড়ে উঠেছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল এবং সেগুলোতে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা এবং মাদক বানিজ্য। প্রশাসনেরচোখের সামনে দিয়েই প্রকাশেই অবৈধ এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু দালাল চক্রের দেহ ব্যবসায়ীরা। হোটেলে দেহ ব্যবসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে দাবী সদর দহ্মিনের পুলিশের। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে, অন্যান্য দিনের মত করেই কুমিল্লা নগরীর হাইওয়ে রোডের দুই পাশজুড়ে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা । আলেখারচর বিশ্ব রোডের মাথায় বৈশাখী নামে হোটেলের সামনে বসে থাকা দালাল বা হোটেল স্টাফরা দাড়িয়ে থেকে খদ্দের ডেকে ভেতরে নিয়ে যায়। ঢাকা আবাসিক নামে কুমিল্লার জাগুরজুলি নামক স্থানে হোটেলের সামনে বসে থাকা দালাল বা হোটেল স্টাফরা চেয়ার নিয়ে বসে থেকে খদ্দের ডেকে ভেতরে নিয়ে যায় ট্রাকের চালকদেরকে । আবার ভ্রাম্যমান দালালরা খদ্দের ধরে সারাসরি হোটেল নিয়ে আসছে। আর হোটেল মালিক পক্ষ আশে পাশে থেকে পাহারা দিচ্ছে। গত শুক্রবার রাতে এমনই একটি চিত্র ধরা পড়ে প্রতিবেদকের কাছে। নগরের আবাসিক এলাকা হাইওয়ে রোডে বৈশাখী আবাসিক হোটেল পুরো কুমিল্লা জুড়ে বেশ পরিচিত পতিতালয় হিসেবে, সামনে অবস্থিত হোটেল আজ রাস্তার পাশে দাড়ালেই চোখে পড়ে পতিতার রমরমা দেহ ব্যবসার চিত্র। হাঠৎ একটি যুবক রোডের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল ঠিক তখন আবাসিক হোটেলর সামনে প্রথমে পাশে দাড়ায়। তার মিনিট খানেক পড়ে বলেন ভাই কাউকে খুজতে আসেন নাকি। তখন পতিতার দালাল চক্রের মতলব বুঝতে পেরে প্রতিবেদক বললেন হ্যাঁ এখানে একটা হোটেল আছে না। যুবকটি বলেন হ্যাঁ ভাই আছে। তবে আগের চেয়ে এখন উন্নত হয়েছে দাম একটু বেশি। আমাদের প্রতিবেদক উত্তরে দালাল বললেন “এখন সব কচি মাল”। রেট একটু বেশি চেহারাও পরির মত লাল টুকটুকে। স্কুল কলেজ ভার্সিটির ও বিভিন্ন বয়সের আছে। আসেন ভাই ভিতরে ঢুকে দেখলেই প্রান জুড়ে যাবে আপনার। স্থানীয় সূত্রে যানা গেছে, ক্যান্টনমেন্ট আমতলী নামক স্থানসহ বেশ কিছু স্থানে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে অবাধে জমজমাট এই দেহব্যবসা। এই সব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহ বধূ প্রবাসীর স্ত্রী সহ অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুমিল্লা নগরীর ছোট বড় মিলে কয়েকটি আবাসিক হোটেলে এই ধরনের অনৈতিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে মাসের পর মাস । এসব আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত গ্রুপ ভাগ করে এবং রাতের বেলায় আবারও অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়। আবাসিক সকল হোটেলে অবৈধ এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করার ঘোষনা দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি এখনও। নগর পুলিশের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চালিয়ে আসছে গুটি কয়েকজন নামধারী দালাল চক্রের পতিতা ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে আরো দেখা যায়, পতিতা বৈশা রয়েছে ৫/৬ টি হোটেল,তার ভিতর কুমিল্লা ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে প্রধান গেটের পাশ থেকে শুরু করে পদুয়ার বাজার বিশ্ব রোড পর্যন্ত মার্কেটের ভিতরে হোটেল , বৈশাখ আবাসিক,সোনালী আবাসিক হোটেল, ঢাকা আবাসিক হোটেল, তিতাস আবাসিক হোটেল, আপন আবাসিক হোটেল । নামে-বেনামে হোটেলের আবাসিক সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে পতিতাবৃত্তি দালাল চক্র। গতকাল লক্ষ করা গেছে, হোটেল ঢাকা আবাসিকের সামনে দাড়িয়ে রয়েছে দুই জন খদ্দের ডেকে ডেকে ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে এক দালাল। ওই স্থানের সামনে পৌছানো মাত্রই তাদের সাথেও কথা বলে হোটেলের দালালরা। নতুন জিনিস আছে ভাই। ভেতরে যাবেন কজন তা নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। কিন্তু মটরসাইকেলের সামনে প্রেস লেখা দেখে চেপে যান ওই দালাল। তাদের মধ্যে একজন দালাল হোটেলের এক ব্যক্তিকে ডাকার কথা বলে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় পতিতা দালাল।কিছুক্ষন পরে বাইরে বেরিয়ে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করেন এক নারী দালাল। জানা যায় ওই হোটেলের মালিক । এজন্য অবশ্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং কতিপয় হলুদ সাংবাদিকদের মাসহারা দিচ্ছে এই দেহ ব্যবসায়ী সহ অন্যনরা। পুলিশের রহস্যজনক নিরবতার কারনে তালিকাভুক্ত প্রায় প্রতিটি হোটেল নামক পতিতালয়ে দেহ ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে বলে জানা গেছে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এসব হোটেল চলমান রেখেছে। শুধু পতিতাসহ না তারা ইয়াবাসহ প্রশাসনের হাতে আটক হয়ে একাধিক বার কারাভোগ করেছে। একাধীক সূত্র জানায়, এসব আবাসিক হোটেলে অনেকেই আবার ভুয়া স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে পাঁচশ টাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে কয়েক ঘন্টা অবস্থান করে চলে যায়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ রয়েছে বিভিন্ন পেশার নারীরা । এসব হোটেলে শুধু মেয়ে না পাওয়া যাচ্ছে হাত বাড়ালেই মাদক । অনেক হোটেলের রুম মাদক সেবন ও জুয়ার জন্যও ভাড়া দেয়া হয়ে থাকে। হোটেলের লোকজন মাদকসেবীদের চাহিদা অনুসারে ফেনসিডিল, ইয়াবা,আইসসহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্য এনে দেয়। প্রায়ই সময় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে এসব হোটেল থেকে পতিতা ও মাদকসহ ব্যবসায়ীদের আটক করেন। তবে বর্তমানে কিছু দিন যাবৎ বড় ধরনের কোন অভিযান পরিচালনা করেননি প্রশাসন। দেহব্যবসার সাথে জড়িত এক হোটেল মালিকের সঙ্গে আলাপ কালে তিনি জানান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে আমাদের কিছুই হবে না বলে হুমকি প্রদান করেন। তার কারণ স্থানীয় কিছু প্রসাশন ও পত্রিকার মালিকদের ম্যানেজ করেই সবকিছু চলে। এ বিষয় স্টাফঅফিসার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা ভাইরাসের মধ্যেও দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে সকল কিছু খুলে দেয়া হয়েছে। তার মানে এই নয় যে হোটেলগুলো অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে মটো ফোনে সদরদক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কলকেটেদেন পরে একাধিক বার ফোন করে ওনাকে পাওয়া যায়নি।

See also  মাদারীপুরে আবাসিক হোটেলে চলছিল দেহ ব্যবসা, আটক নারীসহ ৮ জন কারাগারে