সাভারে আবাসিক এলাকায় চলছে দেহ ব্যবসা, অতিথির বেশে খদ্দের

সাভারে আবাসিক এলাকায় চলছে দেহ ব্যবসা, অতিথির বেশে খদ্দের

সাভারে আবাসিক এলাকায় চলছে দেহ ব্যবসা, অতিথির বেশে খদ্দের

ঢাকা মহানগরীর কূলঘেষা নিরিবিলি পরিবেশ ও শিল্প এলাকা হওয়ার সুবাদে সাভার উপজেলার বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় ব্যাপক ভাবে চলছে দেহ ব্যবসা।

এসব এলাকার বিভিন্ন ফ্ল্যাটে মদ ও জুয়ার আসরও বসে প্রতিদিন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান হওয়ায় অনেক মক্ষীরাণী সাভারের বিভিন্ন মহল্লায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে জমজমাট দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক ফ্ল্যাট সাবলেট নিয়েও ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, অনেক ক্ষেত্রে এসব মক্ষীরানীরা ভুয়া পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকে। স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া করলেও আসলে স্বামীর পরিচয় দানকারী ব্যক্তিটি থাকে দালাল। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা উভয়েই চাকরির কথা বলে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। এদের পোশাক-পরিচ্ছদে এবং আচার-আচরণে বোঝার উপায় নেই যে এরা দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত।

See also  নারায়ণগঞ্জ আবাসিক হোটেল ও পতিতালয়ের দেহ ব্যবসা ভিডিও । নামকরনের ইতিহাস । Narayanganj Deh bebsa

ভদ্র শিক্ষিত মহিলার লেবাসে ঘুরে বেড়ায়। এমনকি আশেপাশের বাসিন্দারাও সহজে এদের অপকীর্তি বুঝতে পারে না। খদ্দেররা যখন বাসায় যাতায়াত করে তখন আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে দেহ ব্যবসায়ীদের বাসায় নির্বিঘ্নে যাতায়াত করে। হাতে থাকে মিষ্টি কিংবা ফলের প্যাকেট। দেখে মনে হবে কেউ বেড়াতে এসেছে। খদ্দেররা কখনোই একসাথে আসে না, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের আসার সময় জানানো হয়। একজন চলে গেলে অন্য একজন আসে। এসব ফ্ল্যাটে রাখা হয় সুন্দরী নারীদের। সাভারের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাত্রী ও অনেক গৃহবধূরাও এ চক্রের খপ্পরে পড়ে এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।

দেহব্যবসা কিংবা মক্ষীরানীদের ব্যাপারে এলাকার কেউ জেনে ফেললে কিংবা পরিচয় ফাঁস হওয়ার উপক্রম হলে তারা বাসা পাল্টিয়ে ফেলে। তবে তারা কখনোই এক বছরের বেশি কোনো এলাকায় ভাড়া থাকে না। এসব মক্ষীরাণীরা যখন যে এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় সে এলাকার উঠতি সন্ত্রাসীদের হাত করে নেয়। আবার খদ্দের ধরার জন্য এদের রয়েছে একাধিক দালাল।

See also  বগুড়ায় কিছু আবাসিক হোটেল এখন মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, দেহ ব্যবসায়ীদের সহযোগী সন্ত্রাসীরা অনেক ক্ষেত্রে বিত্তবান কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদেরকে পতিতাদের সাথে উলঙ্গ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে থাকে। সামাজিক মান ইজ্জতের ভয়ে ওই ব্যক্তিরা সন্ত্রাসীদের চাহিদা মোতাবেক মোটা অংকের টাকা প্রদান করতে বাধ্য হয়।

সাভারের এক চিকিৎসক এ চক্রের খপ্পরে পড়ে পড়ে ২৫ লাখ টাকা প্রদান করতে বাধ্য হয়েছেন। মান-সম্মানের ভয়ে তিনি বিষয়টি গোপন রেখেছেন।

শিল্পনগরী সাভার-আশুলিয়া অঞ্চলে ভদ্রবেশী এ চক্র অনেক ক্ষেত্রে নারী শ্রমিক ও স্কুল কলেজের ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে আপত্তিকর ছবি তুলে পরবর্তীতে সেই ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করে।

আবার অনেক ক্ষেত্রে ঘটনা ঘটে পুরোপুরি উল্টো। নিজের ইচ্ছামত শপিং কিংবা অতিরিক্ত আয়ের আশায় অনেকে স্বেচ্ছায় দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। আর নারী ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বসে মদ ও জুয়ার আসর। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বলে আসরের জায়গা ও সময় নির্ধারণ করা হয়।

See also  মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ফ্লাট বাসায় রমরমা দেহ ব্যবসা

সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, কোন ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ কিংবা কাউকে ব্ল্যাকমেইলের ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Source:: https://www.manikgonjbarta.com/