সন্তানের হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় জেনে নিন

আপনার সন্তান স্কুলে যাচ্ছে? হাতের লেখা ভালো না বলে আশানুরূপ মার্ক পাচ্ছে না? বর্তমানের বেশিরভাগ অভিভাবকের দুশ্চিন্তার কারণ এই খারাপ হাতের লেখা।

এখানে কয়েকটি বিষয় আলোচনা করছি, যাতে হাতের লেখা তুলনামূলক ভালো হয়।

১. প্রত্যেকটি শব্দ সঠিকভাবে লিখতে শেখান। যুক্তবর্ণগুলো যাতে ঠিকঠাক শেইপে দিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রথমে রুলটানা কাগজে লিখতে হবে যাতে মাত্রা একই লেভেলে থাকে।

 

২. প্রতিটা অক্ষর আলাদাভাবে যখন লিখবে, চেষ্টা করুন তার জন্য সহজ হয় সেই উপায়ে লেখা। আপনি হয়তো এক স্টাইলে লিখে অভ্যস্ত, সেটা একটু ঘুরিয়ে পেচিয়ে লেখেন। কিন্তু বাচ্চা যেভাবে সহজভাবে রেখা টানতে পারছে, তাকে সেভাবে লিখতে দিন। যেমন ধরা যাক ‘স’, ‘জ’ একেকজন আলাদা স্টাইলে লেখে, লিখুক। দৃষ্টিনন্দন হলেই হচ্ছে, কিভাবে সে লিখলো সেটা গুরুত্ব বহন করে না।

See also  ৪ জন পতিতার গোপন সাক্ষাৎকার ভিডিও Potita interview । বিয়ে করে ভালো জীবনে ফিরতে রাজি

 

৩. অনেক সময় দেখা যায় আপনার শিশু বর্ণগুলো চমৎকার লিখতে পারছে, কিন্তু শব্দ তৈরীর সময় দুটি অক্ষরের মাঝে পর্যাপ্ত স্পেস দিচ্ছে না। সেজন্য লেখা ভালো দেখাচ্ছে না। দুটি অক্ষরের মাঝে নির্দিষ্ট ফাঁক রেখে লিখতে শেখান।

 

৪. প্রথমে শিশুকে খোলামেলা এবং বড় করে লিখতে উৎসাহী করুন। তারপর সব লেখা আয়ত্ত্বে এসে গেলে সে নিজেই ছোট করে লিখতে পারবে।

 

৫. অনেক সময় গ্রিপও খারাপ হাতের লেখার কারণ হতে পারে। শিশু যদি বুড়ো আঙুল, মধ্যমা ও তর্জনী দিয়ে কলম বা পেন্সিল ধরে রাখে তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু শিশুটি যখন খুব শক্ত করে কলম ধরে লেখে, তখন তার হাত দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং লেখা নষ্ট হতে থাকে।

See also  কত বছর পূর্তিতে কোন জয়ন্তী হয় জেনে নিন

এমতাবস্থায়, লেখার সময় শিশু কলম বা পেন্সিলের উপর কতটা চাপ দিচ্ছে তা দেখতে হবে।

 

৬. প্রতিদিন অল্প সময় হলেও হাতের লেখা অনুশীলন করা দরকার।

আকর্ষণীয় গল্প বা প্রিয় বিষয় নিয়ে লেখার জন্য উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে, যাতে বাচ্চার আগ্রহ বাড়ে।

 

৭. লেখার সময় বাচ্চাকে চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। ধীরে ধীরে উন্নতি করতে উৎসাহ দিতে হবে। সুন্দর লেখার জন্য ছোটখাটো পুরস্কার দিলে বা প্রশংসা করলে শিশু অনুপ্রাণিত হবে।