শরীয়তপুরে কোর্ট সংলগ্ন আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড

শরীয়তপুরে কোর্ট সংলগ্ন আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ড

শরীয়তপুরে করোনাকালীন সময়ে কোর্ট সংলগ্ন জলিল আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কর্মকান্ডে ধরা পরা কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিলেও হোটেল বন্ধ হয়নি। হরদমে চলে আসছে এই অবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা। নিয়মনীতি ছাড়াই জাতীয় পরিচয়পত্র বিহীন ভাড়া দিচ্ছে হোটেল কক্ষ। ওই হোটেল কক্ষে অর্থনৈতিক কাজ করতে গিয়ে ধরা পরে নাজমুল নামক শরীয়তপুর জেলা কারাগারের এক কারারক্ষী।

স্থানীয় সূত্র ও জেলা কারাগার সূত্রে জানাগেছে, সারাদেশে যখন করনা মহামারীর কারণে কঠোর লকডাউন পালিত হচ্ছে। আর জেলার সকল প্রতিষ্ঠান প্রায় বন্ধ। তখনো অবৈধভাবে কোর্ট সংলগ্ন স্থানীয় জলিল মটরসের মালিক আ. জলিলের মালিকানাধীন জলিল আবসিক হোটেল খোলা রেখে চলছে অনৈতিক রমরমা দেহ ব্যবসা।

তারই ধারাবাহিকতায় ৬ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ১ টায় ওই হোটেলে শরীয়তপুর জেলা কারাগারের কারারক্ষী নাজমুল-২ নামের লোকটিকে কোন নিয়ম নীতি ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র বা কাবিন নামা, এমন কি স্বামী-স্ত্রীর প্রমান ছাড়াই আবাসিক হোটেল ভাড়া দেয় তারা। অনৈতিক কাজ করতে সহায়তা করে হোটেলের অভ্যর্থানায় ম্যনেজার হারুন খালাসি।

ওই সময় হোটেলের ফ্লোরে ছিল যৌন উত্তেজক সিরাপ ও বক্স ভর্তি যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় লোকজনের সামনে কয়েকজন সাংবাদিক হাজির হয়ে সত্যতা পায়। রুম ভাড়া নেয়া কারারক্ষী যুবক নাজমুল (৩০) বলেন, আমি শরীয়তপুর জেলা কারাগারের কারারক্ষী। আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে এই হোটেলে উঠেছি। জিঙ্গাসাবাদের এক পর্যায়ে তার শশুর বাড়ির নাম্বার চাইলে তিনি প্যাচে পরার কথা চিন্তা করে সে অপরাধ শিকার করেন। এদিকে ম্যানেজার হারুন খালাসি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার ছলে ছেলে ও মেয়েকে গোপনে চলে যেতে সহযোগিতা করেন।

জেলা কারাগারসূত্রে আরও জানাযায়, জেলখানায় দুই জন নাজমুল চাকরি করে। একজন ভালো, আরেকজন নেশা করার দায়ে সাসপেন্ডে আছে। এই ছেলেটা দুই নাম্বার নাজমুল। এই নাজমুল ১৭ দিন হলো জেলা কারারক্ষী হিসেবে যোগদান করেছে। এসেই কিছুদিন আগে নেশা করার অপরাধে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

See also  কুমিল্লা জেলার বডিংয়ে পতিতা দিয়ে দেহ ব্যবসা Comilla Hotel Boding Deh bebsa

অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে ম্যানেজার হারুন খালাসি দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, একজন পুলিশ পরিচয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে হোটেলের একটি রুমে উঠে। হোটেল রেজিষ্ট্রার খাতায় একই এলাকার ঠিকানা দিয়েছে। পুরুষ লোকটি তার পরিচয়পত্র দিলেও মহিলার পরিচয়পত্র দেয়নি। বলেছে তার স্ত্রী বাড়ি থেকে আসছে। বিকেলে চলে যাবে।

এ ব্যাপারে আবাসিক হোটেল মালিক আ. জলিল দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, আবাসিক হোটেলটি আমি নতুন করেছি। আপরাধ করেছে আমার ম্যানেজার, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না। করোনাকালীন সময় শুধু আমার আবাসিক হোটেল না, সদরের সব আবাসিক হোটেল খোলা রয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে বিষয়টি একটি ষড়যন্ত্র। আমার দুর্নাম করতে কেউ এটা করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

এ ব্যাপারে শরীয়তপুর জেল সুপার ও শরীয়তপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই দৈনিক রুদ্রবার্তাকে বলেন, নাজমুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হোটেলের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Source:: https://rudrabarta.net/shariatpur/26316