রাজশাহী শহরের হোটেল ওয়েলকাম ও আবাসিক হোটেল আশ্রয়ে চলছে মেয়ে রমরমা দেহ ব্যবসা

রাজশাহী শহরের হোটেল ওয়েলকাম ও আবাসিক হোটেল আশ্রয়ে চলছে মেয়ে রমরমা দেহ ব্যবসা

রাজশাহী শহরের হোটেল ওয়েলকাম ও আবাসিক হোটেল আশ্রয়ে চলছে মেয়ে রমরমা দেহ ব্যবসা

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার স্বর্ণকারপট্টির ‘হোটেল ওয়েলকাম’ আবাসিক হোটেলে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। র‍্যাব পুলিশ অভিযান পরিচালনা করলেও অদৃশ্য কারণে থামছে না দেহ ব্যবসার কাজ। এই আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা পাশাপাশি চলে মাদক সেবন। এই তো কিছু দিন আগেও সেখান থেকে ৭ নারীসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন র‌্যাব।

কুখ্যাত এ হোটেলটি পরিচালনা করেন রাজশাহী মহানগরীর ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা সোহেল। একসময় এ হোটেলের বয় ছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে অনৈতিক কাজে সিদ্ধহত হয়ে যান সোহেল। রাতারাতি মোটা আয় দেখে নিজেই নিয়ে নেন দুটি হোটেল। একটি হোটেল আশ্রয় অপরটি ওয়েলকাম আবাসিক হোটেল।

See also  গোপালগঞ্জ জেলার আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা ও নামকরনের ইতিহাস | Gopalganj District Deh Bebsa

বিভিন্ন সময় হোটেলের নাম বদল হলেও অবৈধ এ দেহ ব্যবসা কারবার কখনও বন্ধ হয়নি। নগরীর প্রাণকেন্দ্রে সাহেববাজার ভূবন মোহন পার্কের পাশেই এ হোটেলের অবস্থান। পাশাপাশি মাদক কারবারও চলছে এ হোটেলটিতে। মাঝেমধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি অবৈধ এ কারবার। অভিযোগ রয়েছে পুলিশকে ম্যানেজ করেই এসব চালাচ্ছে মালিকপক্ষ।

আশ্রয় আবাসিক হোটেল টি গনকপাড়া এলাকায় অবস্থিত সেখানেও রাত দিন সমানে চালাচ্ছে মাদক ও দেহ ব্যবসার কারবার।

 

এরপর পেশাদার যৌনকর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলেন নেটওয়ার্ক। এ যৌনকর্মীদের অনেকেই জিম্মি হয়ে রয়েছেন সোহেলের কাছে। অনৈতিক এ কাজ থেকে বেরিয়ে যাবার চেষ্টা করেও পারেননি অনেকে।

 

অভিযোগ রয়েছে, নগরীর বিভিন্ন এলাকা বাসা ভাড়া নিয়েও দেহব্যবসা ও মাদক ব্যবসা চালাচ্ছেন এই সোহেল রানা। নির্বিঘ্নে কাজ করতে গড়ে তুলেছেন পোষা গুণ্ডা বাহিনী। আগন্তুক না বুঝে হোটেলে কিংবা এদের বাসায় উঠলেই জিম্মি করে আদায় করেন অর্থ। তবে মানসম্মানের ভয়ে ঘটনার শিকার কেউই অভিযোগ দেননি থানায়।

See also  খাগড়াছড়ির যেসব আবাসিক হোটেলে অবৈধ দেহ ব্যবসা চলে | Khagrachari Abasik Hotel

 

সূত্র জানায়, আবাসিক হোটেল ওয়েলকাম কক্ষে দিনের বেলায় অবস্থান করেন তরুণীরা। এদের কয়েকজন শিশু। রাতে এরা বিভিন্ন নম্বর কক্ষে অবস্থান করেন। অপেক্ষায় থাকেন ডাক পড়ার। ডাক পড়লে গভীর রাতেও বাইরে যান যৌনকর্মীরা।

 

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রকাশ্যে এমন কর্মকাণ্ডে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে যে কোনো সময়। ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে অবৈধ এ কারবার বন্ধে এখনই উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেল মালিক সোহেল বলেন নগরীর সাহেব বাজার ও লক্ষ্মীপুর এলাকার ৪ থেকে ৫টি আবাসিক হোটেলে এ অনৈতিক কাজ হচ্ছে। কিন্তু কুখ্যাতি থাকায় বারবার এ হোটেল দুটির নাম আসছে আলোচনায়। পুলিশকে ম্যানেজ করেই তিনি এ কারবার চালাচ্ছেন বলে দাবি করেন।

See also  রাজশাহীতে আবাসিক হোটেল ব্যবসার আড়ালে গোপনে অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ

যোগাযোগ করা হলে নগর পুলিশের তরফ থেকে অবৈধ এ কারবার বন্ধে অচিরেই অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছেন নগর পুলিশের মূখ্যপত্র। একই সঙ্গে পুলিশে বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।