রাজশাহী নগরীতে যেভাবে চলছে দেহ ব্যবসা

রাজশাহী নগরীতে যেভাবে চলছে দেহ ব্যবসা

ঢালিউড থেকে হলিউড কিংবা রাজশাহী থেকে নিউয়র্ক কোথাও যেন দেহ ব্যবসা থামার কোন লক্ষণ নেই।
কোন কোন দেশ দেহ ব্যবসাকে দিয়েছে স্বীকৃতি। কিন্তু মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ দিক দিয়ে অনেকটাই কঠোর।

তদ্রূপ রাজশাহী মহানগরীর আবাসিক হোটেল গুলো অসামাজিক কর্মকান্ড বেড়ে গেছে। এ অসামাজিক কার্মকান্ডর সঙ্গে জড়িত বিশষে করে তরুণ, যুবক ও মধ্যবয়সীরা এসব হোটেলের নিয়মিত খদ্দের। এদের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও একটি অংশ রয়েছে। আর পতিতাদের মধ্যে গৃহবধূ, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, তরুণী ও যুবতীরা রয়েছে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন সময়ে লোক দেখানো অভিযান চালানো হলেও কয়েকদিন বিরতি দিয়ে আবার ওই হোটেলগুলোতে অসামাজিক কর্মকান্ড শুরু করেন আবাসিক হোটেলের ব্যাবসায়ীরা।

 

অনুসন্ধানে জানা যায় , রাজশাহী মহানগরীর সুরমা হোটেলে পতিতা হিসাবে কাদের ব্যাহার করা হচ্ছে দেখা যাক, ১৮ থেকে ২০ বছরের নারীদের পতিতা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পতিতাদের মধ্যে গৃহবধূ, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, তরুণী ও যুবতী, এ ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী রয়েছে। এদের খদ্দের হচ্ছে নগরীর বড় বড় ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন বিত্তবান পরিবারের ছেলেরা।

See also  নরসিংদী আবাসিক হোটেল ও মিনি পতিতালয় দেহ ব্যবসা । নাম করন ইতিহাস । Narsingdi abasik hotel deh bebsa

প্রশাসনের অভিযানের কারনে রাজশাহী মহানগরীর এলাকার আবাসিক হোটেলগুলো সাময়িক কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আবাসিক হোটেল গুলোতে স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়না দেহ ব্যবসা। নগরীর বিভিন্ন হোটেলে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি আবাসিক অভিজাত বাসাবাড়িতে চলছে দেহ ব্যবস্যা। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতার কারনে আবাসিক হোটল নিরাপদ না থাকলে দালালরা বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বাড়ি ভাড়া করে পতিতাদের থাকার ব্যবস্থা করেন। সম্প্রতি রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানার বেশ কিছু অভিযানে ভাটা পরেছে কয়েকটি হোটেলে কিন্তু রাজশাহী মহানগর ডিবির তরফ থেকে নেই কোন বিশেষ অভিযান।

অভিযোগ আছে, রাজশাহী মহানগর ডিবির বর্তমান ইন্সপেক্টর মাশিয়ার রহমানের নেতৃত্বে প্রথম প্রথম কিছুদিন অভিযান চললেও এখন রাজশাহী মহানগর ডিবির পক্ষ থেকে অভিযান নেই বললেই চলে। সম্প্রতি রাজশাহী মহানগর ডিবির ওসি খায়রুল সাসপেন্ড হওয়ার পরপরেই ওসি খায়রুল যোগ সূত্র স্থাপন করে দেন ডিবির বর্তমান ইন্সপেক্টর মাশিয়ারের সাথে। এতে হোটেল ব্যবসায়ী ও ডিবির সকল শ্রেণীর কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন স্থাপন হয়েছে বৈকি।

রাজশাহী মহানগরীর ২ দশকের বেশী সময় ধরে দেহ ব্যবসায় যারা সফলতা অর্জন করেছেন তাদের মধ্য অন্যতম মাইনুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী মহানগরীতে অবস্থিত ৩টি হোটেলসহ রাজশাহী জেলার বাহিরেও হোটেল স্থাপন করেছেন। তাদের অন্যতম সহযোগী আফজাল ।
তিনিও এ ব্যবসায় বলতে গেলে সর্বোচ্চ শীর্ষে অবস্থান করছেন। বারংবার হোটেল সিলগালা হলেও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে থাকেন এই সফল দেহ ব্যবসায়ীরা।

See also  মেয়েকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায় মা-বাবাসহ গ্রেপ্তার ৩

জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীতে আবাসিক হোটেল যমুনা, স্বর্ণকার পট্টি এলাকায় আবাসিক হোটেল ময়েম, সাহেববাজার মুড়ি পট্টি এলাকায় হোটেল সোনালি,হোটেল সুর্যমূখী, গনকপাড়া এলাকায় হোটেল আশ্রয়সহ প্রায় অর্ধ ডজন আবাসিক হোটেলে চলে জমজমাট এ ব্যবসা।

খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, এসকল আবাসিক হোটেলে অবাধ যৌন ব্যবসার পাশাপাশি অনেক স্থানেই লেনদেন হয় মাদকদ্রব্য। এলাকাবাসীর অনুরোধ ও প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েক মাস আগে যৌন ব্যবসায় জড়িত এসব হোটেলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে খদ্দেরসহ যৌনকর্মীদের আটক করে সাজা দেয়া হয়েছে। হোটেলগুলো কিছুদিন বন্ধ থাকার পর রহস্যজনক কারণে আবারো সেগুলো জমজমাট হয়ে ওঠেছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন বলেন – আমাদের একার পক্ষে এ ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব নয়। তারপরেও আমরা বেশ কিছু হোটেলে দেহ ব্যবসা বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। তবে এক্ষেত্রে সকলের সহযোগীতা থাকলে রাজশাহীতে কোন হোটেলেই এ ব্যবসা সম্ভব হবেনা বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন এই ওসি।

See also  মানিকগঞ্জ আবাসিক হোটেল নাকি পতিতালয় দেহ ব্যবসা । নামকরনের ইতিহাস । Manikjganj Deh Hotel vara

তবে এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর ডিবির অফিসিয়াল নাম্বারে বারংবার ফোন দেয়া হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই ও এএসআইদের ফোন দিলেও তারা কেউই ফোন রিসিভ করেননি। তবে সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করার বিষয়ে অত্যন্ত গোপনীয়াভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজশাহী মহানগর ডিবি অফিস। এমনকি রাজশাহী মহানগর ডিবির কোন সদস্য সাংবাদিকের সাথে কথা বলেছিল কিনা তা যাচাইয়ের জন্য মাঝে মাঝেই ঝাড়ুদার থেকে ওসিদের ফোন কল ডিটেইলস নেয়া হয়। আর কেউ যদি সাংবাদিকের সাথে কথা বলেছে বলে প্রমাণিত হয় ঠিক ঐ মুহুর্তেই তাকে রাজশাহী মহানগর ডিবি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এর নজিরও রয়েছে অসংখ্যা। তবে রাজশাহী মহানগর ডিবির উর্ধ্বতন কর্মকর্তার ইশারায় এ সকল কর্মকান্ড পরিচালনা হয় বলে কয়েকটি গোপন সূত্র নিশ্চিত করেছে।

Source:: https://24x7upnews.com/