মেয়েকে দিয়ে যৌন ব্যবসা, শ্রীঘরে মা

মেয়েকে দিয়ে যৌন ব্যবসা, শ্রীঘরে মা

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মেয়েকে দিয়ে যৌন ব্যবসা ও হয়রানিমূলক মামলার অভিযোগে মা বিউটি আক্তারকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন বাদী হয়ে মা বিউটি আক্তার ও আলাইয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মাদরাসাছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণ, বিবস্ত্র করে ছবি ধারণ ও অপহরণের অভিযোগে মা বিউটি আক্তার চারজনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলার আসামি ফয়সাল, সাইফুল ইসলাম ইমন ও জোবায়েরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। দুদিন পর শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভিকটিম মাদরাসাছাত্রীকে ঢাকার সাভারের পূরগাঁও এলাকার রুবি নামের একজনের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের বিচারকের আদালতে ওই ছাত্রী জবানবন্দি দেন।

 

পুলিশ আরও জানায়, মাদরাসাছাত্রীর জবানবন্দি ও মামলার তদন্ত করতে গিয়ে জানা গেছে, ২০১৮ সালে ভিকটিম ধীতপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ালেখা করতো। ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিকটিমকে দিয়ে তার মা বিউটি আক্তার জোরপূর্বক টাকার বিনিময়ে দেহ ব্যবসা করতেন। প্রতিবাদ করলে কয়েকবার ভিকটিমের হাত-পা বেঁধে মারধর করেন বিউটি। তদন্তে উঠে আসে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানসহ বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের ঘরে পাঠানো হতো ওই মাদরাসাছাত্রীকে।

এদিকে ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকালে আলাইয়াপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ড নাপিতের পোল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও হীরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মনববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিম ও গ্রেফতার আসামিদের জবানবন্দিতে ওই ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন, আটক রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্যকরাসহ নানা অপকর্মের প্রমাণ মেলে। পরে সোমবার (১ মার্চ) বিউটি আক্তারকে আটক করে সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

See also  মেয়েকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করায় মা-বাবাসহ গ্রেপ্তার ৩

 

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার বলেন, মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, অপরহণ, নগ্ন ভিডিও ধারণের ঘটনায় আগে দুটি ও মানবপাচার দমন আইনে পরে আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Source:: https://www.jagonews24.com/