গোপালগঞ্জে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা চুক্তিতে দেহ ব্যবসার জন্য হোটেল ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চলছে দীর্ঘ এক যুগ। তাদের হোটেলে খদ্দের হোক আর না হোক দিন শেষে মালিককে যেকোন উপায়ে তিন হাজার টাকা দিতেই হতো।
টাকা আয়ের নেশায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পতিতা এনে ফোন করে খদ্দের এনে চলতো দেহ ব্যবসা। এভাবেই দীর্ঘ ১২ বছর চলছে রুপালীর (ছদ্দনাম) হোটেল-কাম দেহ ব্যবসা। আর এই ব্যবসার সন্ধান পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডিবি-পুলিশ শহরের লঞ্চঘাটে রুপালীর হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় ওই হোটেল পরিচালনাকারী পতিতা সর্দার, দুই পতিতা ও দুই খদ্দেরসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত খদ্দের ইমরুল মোল্লা (১৮) সদও উপজেলার বড়ফা গ্রামের কালাম মোল্লার ছেলে এবং রায়হান শেখ (২৫) একই উপজেলার রায়পাশা গ্রামের ফজর শেখের ছেলে।
গোপালগঞ্জ ডিবি-পুলিশের ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম বলেছেন, শহরের লঞ্চঘাটে একটি ছাপড়া ঘর জামিল ছারোয়ার নামক এক ব্যক্তি দৈনিক ৩ হাজার টাকা চুক্তিতে এক পতিতা সর্দারনীর কাছে ভাড়া দেয়। ওই নারী দীর্ঘ ১২ বছর সেখানে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পতিতা এনে ফোন করে খদ্দের এনে দেহ ব্যবসা চালাতো।
এমনই গোপন সংবাদ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে পতিতা সর্দার, দুই পতিতা ও দুই খদ্দেরসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের কওে বুধবার জেল-হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
ডিবি-পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো জানান, গোপালগহ্জ শহরের আরো কয়েকটি স্থানেও বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চলছে বলে শুনেছি। সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে সেগুলিতেও পর্যায়ক্রমে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Source:: https://enews.zoombangla.com/