ঢাকায় দেহ ব্যবসায় বেশি বিবাহিত নারীরা!

ঢাকায় দেহ ব্যবসায় বেশি বিবাহিত নারীরা!

সকাল ১১টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত রাজধানীর গুলিস্তান, সদরঘাট, নবাবপুর, ফকিরাপুল এলাকার কিছু কিছু আবাসকি হোটেল ঘুরে দেখা যায় দেহ ব্যবসার রমরমা চিত্র, হোটেলের প্রবেশ পথে টুলে বসে দু’জন হোটেল কর্মচারী ইশারায় ই্ংগিতে ডাকে আবাসিক হোটেল কর্মচারীরা।হোটেলে অবস্থানকারী উঠতি বয়সের বিপদঘামী মেয়ে ও বিবাহিত ভাবিরা স্বামীকে ফাকি দিয়ে তাদের চাকরী কর্মব্যস্ততার সুযোগে অথবা সন্তানকে স্কুলে রেখে সুযোগে তারা নিজেকে অন্ধকার জগতে পা বাড়াতে দ্বিধাবোধ করেনা।

বাড়তি আয়ের লোভে আবাসিক হোটেলে দিনের বেলা ভীড় জমাচ্ছে সবচেয়ে বেশী বিবাহিত নারীরা এমন তথ্য জানান একাধিক হোটেল কর্মচারিরা।আবার স্বামীর অজান্তে জৈালুষ জীবন যাপনের শেষ পরিনতি তালাক ও পারিবারিক হানাহানী, তাদের খদ্দের জোগাতে সর্বক্ষণিক ব্যস্ত ঢাকার আবাসিক হোটেলগুলো কর্মচারিরা।পথচারীদের কাউকে আকার-ইঙ্গিতে, কাউকে আবার সরাসরি প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। অনেকেই বিব্রত হচ্ছেন, যেন এই কর্মচারীদের এবং হোটেলের ভেতরে অবস্থানকারী পতিতাদের নি’রাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা বদ্ধপরিকর।

গুলিস্তানের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, রাত-দিন ২৪ ঘণ্টায়ই গুলিস্তান, সদরঘাট, ফকিরাপুল, খোদ পল্টন এলাকার বেশ কয়েকটি হোটেলে স্থানীয় ক্যা’ডারদের ছত্রছায়ায় দেহ ব্যবসা চলে।রাজধানীর অনেক এলাকায় একই রকম চিত্র দেখা যাবে। বিনা পুঁজিতে অধিক লাভ হওয়ায় পুরো রাজধানীতেই অসাধু হোটেল ব্যবসায়ীরা পতিতা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।বেশ কয়েকটি মধ্য ও নিম্নমানের হোটেলে দেহব্যবসা চলে অনেকটাই প্রকাশ্যে। সাধারণত এসব হোটেলে খদ্দের হিসেবে আসে মধ্য ও নিম্ন আয়ের মানুষ।২৪ ঘণ্টায়ই চলে এ ব্যবসা। যে কেউ যে কোন সময় এসব হোটেলের সামনে দিয়ে হাঁটলেই খুব সহজেই বিষয়টি আঁচ করতে পারবেন, অনেকে খদ্দের হিসেবে আমন্ত্রণের ভাষা শুনে মাথা নিচু করে চলে যান।

স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের অ’ভিযোগ, পুলিশকে ম্যানেজ করেই হোটেল ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুলিশ মাঝে-মধ্যে অ’ভিযান চালায় মূলত খদ্দেরদের ব্লে’ইকমেইল করে তাদের সবকিছু হাতিয়ে নিতে।হোটেল মালিক বা কর্মচারীরা মাসোহারার মাধ্যমে সমঝোতার ভিত্তিতে বহালতবিয়তে থাকে। একাধিক সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগরীর প্রায় সব এলাকায়ই দেহ ব্যবসা জমজমাট।কাকরাইল, ফকিরাপুল, যাত্রাবাড়ী, পুরানা পল্টন, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, মহাখালী, বাড্ডা, মিরপুর, গাবতলী, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় এ ব্যবসা চলে পুলিশকে ম্যানেজ করেই।তবে দুই হোটেল মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, নামীদামী হোটেলগুলোতে বিভিন্ন কৌশলে দেহ ব্যবসা চললেও সেটা কারও নজরে পড়ে না। নিম্ন আয়ের মানুষদের যৌ’ন চাহিদা মেটাতেই মাঝে মধ্যে হোটেলে পতিতা রাখা হয়।

See also  রাজধানীর চার শতাধিক আবাসিক হোটেল, অসংখ্য ফ্ল্যাট জমজমাট ‘সেক্স ট্রেড’ এইডস ঝুঁকি বাড়ছে

 

এটা তেমন দো’ষের কিছু নয় বলে দাবি করেন তারা। পুলিশকে ম্যানেজ করার বিষয়টিও তারা স্বীকার করেন। তবে দায়িত্বশীল একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর সব থানায় তো আবাসিক হোটেল নেই। যেসব থানায় হোটেল আছে, পুলিশ সেখানে নিয়মিতই অ’ভিযান চালায়। অ’সামাজিক কার্যক্রম ব’ন্ধে পুলিশের জোরাল তৎপরতা আছে বলে দাবি করেন তিনি।

 

Source:: https://viewer.com.bd/