Johnny Sins Biography | জনি সিন্সের জীবন কাহিনি

Johnny Sins Biography | জনি সিন্সের জীবন কাহিনি

Johnny Sins Biography | জনি সিন্সের জীবন কাহিনি

Steven Wolfe, known professionally as Johnny Sins, is an American pornographic actor, director, and YouTuber. Known for his shaved head and muscular physique, he is consistently among the most popular pornography searches.

ট্রাম্প এবং বারাক ওবামার পর বিগত কয়েকবছর যাবৎ বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিদের খাতায় যে নামটি আছে, সেটি হচ্ছে জনি সিন্স ! পর্দায় তাকে কখনো শিক্ষক, কখনো মিলিটারী, কখনো নভোচারী আবার কখনোবা সুলতান সুলেমান রুপে আবিভূর্তহতে দেখা যায়। কিন্তু কে এই ব্যক্তি? কিভাবে তিনি পরিবার পরিজন ও সভ্যতা ছেড়ে নীল জগতে পা রাখলেন? আজকে আমরা তাই জানবো। চলুন জেনে নেয়া যাক রহস্যমানব জনি সিন্স সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য !

শৈশবের জনি সিন্স

১৯৭৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বর, বছরের শেষ দিন সূর্য যখন ডুবু ডুবু করছে। ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেটের পিটসবার্গ নামক এক ছোট্ট এলাকায় বাবা মায়ের কোল আলোকিত করে জন্ম নেয় টাক ‍মাথার এক শিশু। কে জানত এই শিশুটিই একদিন বিশ্বের প্রথম মানব হিসেবে মহাকাশে গিয়ে পর্নো ভিডিওতে অভিনয় করে ইতিহাস গড়বে !

জনি সিন্স
হাইস্কুলে পড়ুয়া জনি সিন্স

জনির বাবা একটি স্টিল মিলে কাজ করতেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে জনিই ছিলেন বড়। ছোটবেলা থেকেই জনির ছিলো বডি বিল্ডিংয়ের ঝোঁক। সেই থেকে ১৯ বছর বয়সে তিনি জিমে ভর্তি হন। ওয়ার্কআউট করা শুরু করেন। শৈশবকালে বন্ধুমহলে সবচেয়ে লাজুক বলে পরিচিত ছিলেন জনি সিন্স। মেয়েদের চোখে চোখ রেখে সরাসরি কথা বলতে পারতেন না তিনি। কিন্তু ত‍ার সুন্দর গঠনের শরীরের জন্যই মেয়েরা তার প্রতি সদা আকর্ষিত থাকত। একইসাথে জনি সিন্স ছিলেন ‍‍সুশিক্ষিত। পড়ালেখা ও শরীরচর্চা, দুটোকেই তিনি সমান চোখে দেখতেন।

গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর হঠাৎই নিজের চেয়ে বয়সে বেশি এক নারীকে জনি সিন্সের পছন্দ হয়। বয়সে বড় হবার কারণে জনি ওই নারীর সাথে প্রেম করতে পারেননি। এরপর তিনি একটি কনস্ট্রাকশন ফার্মে চাকরি নেন। এসময় তিনি ‍প্রতিদিন ১০ ঘন্টা ডিউটি এসে রাতে বাসায় ফিরে পর্নোগ্রাফি দেখে অবসর কাটাতেন। এবং ‍দ‍ুর্বল হয়ে পরতেন। পরদিন সকালে তাকে বিধ্বস্ত শরীর নিয়েই অফিসে যেতে হত। একপর্যায়ে জনি সিন্স এই চাকরিটি ছেড়ে নিজেই পর্নোগ্রাফীতে কাজ করার সিদ্ধ‍ান্ত নেন। তিনি মূলত শখকেই গুরত্ব দিয়েছিলেন। কে কি ভাবলো, তা নিয়ে জনি খুব একটা মাথা ঘামাননি !

ক্যারিয়ারের শুরু যেভাবে

কনস্ট্রাকশন ফার্মের চাকরি ছেড়ে জনি সিন্স লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে আসেন। সেখান থেকে কার্লোস নামে তার এক বন্ধুকে নিয়ে পর্নোগ্রাফি ইন্ডাষ্ট্রিতে যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে যান। এতে তাকে কোনো টাকাপয়সাও খরচ করতে হয়নি। পর্নোগ্রাফি ইন্ডাষ্ট্রিতে অভিনেতা হিসেবে ঢুকার একটি প‍ূর্বশর্ত হচ্ছে, প্রথম কাজ হিসেবে একটি সমকামীতামূলক পর্নোগ্রাফি ভিডিওতে অভিনয় করতে হয়। কিন্তু জনি সিন্সকে এরকম কোনো ভিডিওতেই কাজ করতে হয়নি। একারণেই তাকে বলা হয় পর্ন ইন্ডাষ্ট্রির রাজপুত্র !

জনি সিন্স কার্লোসকে প্রথমে বলেন, তিনি মেল এসকর্ট হিসেবে কাজ করতে চান। টাকার বিনিময়ে বৃদ্ধ মহিলাদের সাথে মেলামেশা করতে তিনি রাজি আছেন। তখন কার্লোস তাকে বলেন, সে চাইলে তার ভাগ্যে আরো ভালো কিছু ঘটতে পারে ! এই কার্লোসই পরবর্তীতে এক পর্নোগ্রাফি সিনেমা ডিরেকটরের কাছে নিয়ে যান। খুলে যায় জনি সিন্সের ভাগ্যের চাকা। শুরু হয় পর্ন ইন্ডাষ্ট্রিতে তার ক্যারিয়ার !

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*