কচিমাল আছে ! ভিজিটিং কার্ডে কলেজের ও ভা‌র্সি‌টির মেয়েদের জমজমাট ভিআইপি দেহ ব্যবসা দেখুন ! Vip Girls

রাজধানীতে ভিআইপি দেহ ব্যবসা জমে উঠছে

কচিমাল আছে ! ভিজিটিং কার্ডে কলেজের ও ভা‌র্সি‌টির মেয়েদের জমজমাট ভিআইপি দেহ ব্যবসা দেখুন ! Vip Girls রাজধানীতে যৌন ব্যবসা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যখন তৎপর তখন রুপ পাল্টাচ্ছে যৌনকর্মীরা। খদ্দের ধরতে ভিজিটিং কার্ড ফর্মুলা হয়ে দাড়িয়েছে এ ব্যবসার প্রধান মাধ্যম। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ‘অমুক’ ভাইয়ের নাম ও মোবাইল নম্বরসহ একটি ভিজিটিং কার্ হঠাৎ পথচারীদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে কিছু ব্যক্তি। যেখানে লেখা, ‘বিস্তারিত জানতে মোবাইলে যোগাযোগ করুন।’ এর পরের তথ্য, আমাদের এখানে এসি, নন এসি রুম ভাড়া দেয়া হয়।’ এরপর উল্লেখ করা হয়েছে হোটেলের লোকেশন। আর কল করলে একজন পুরুষ রিসিভ করে। বিনয়ের সঙ্গে বলে, কি সেবা করতে পারি স্যার? সেই সাথে বলে, আপনার জন্য অপেক্ষায় আছেন ঢাকার বিভিন্ন কলেজ, ইউনিভারসিটির ছাত্রী ও মধ্য বয়সের মহিলা যৌনকর্মীরা।

শ্চিম শেওড়াপাড়ার শামীম সরণি গলি পথ। বোরকা পরিহিত এক নারী আবাসিক এ এলাকাটিতে চলাচলকারী পথচারীদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন একটি কার্ড। এ কার্ডেও বড় হরফে লেখা এক ব্যক্তির নাম ও দু’টি মোবাইল নম্বর। কার্ড ধরিয়ে দেয়া নারীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি দ্রুত সটকে পড়েন। পরে কার্ডে উল্লিখিত রানা ভাই নামের ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয় ফোনে। ফোন করতেই হোটেলের যাবতীয় সুবিধার কথা গড় গড় করে বলে দেয়া হয় (রেকর্ড সংরক্ষিত আছে)। পরিষ্কার হয়, অবৈধ যৌন ব্যবসা রমরমা করতেই শহরে আগ্রাসী ভঙ্গিতে ছড়ানো হচ্ছে ওইসব ভিজিটিং কার্ডের প্রচারপত্র।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কেবল রাজধানী ফার্মগেট বা মিরপুর এলাকাতেই নয়, ঢাকার অন্যান্য এলাকাতেও একাধিক চক্র একই কায়দায় অবৈধ ব্যবসা প্রসারে বিলি করছে ভিজিটিং কার্ড। ভিজিটিং কার্ডের নম্বরধারীরা সাধারণত চারটি ভাগে রাজধানীতে যৌনকর্মী সরবরাহ করে। প্রথমত যৌনকর্মীকে ভিজিটরের বাসার ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া, দ্বিতীয়ত যৌনকর্মী ও ফ্ল্যাট ভিজিটরকে নিরাপদে নিয়ে আসা, তৃতীয়ত হোটেল কক্ষে যৌন মিলনে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং চতুর্থ প্রাইভেট পরিবহন ও পার্ক

See also  মিরপুরে আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসায়ী আটক-১২ পতিতা

সূত্র জানায়, রাজধানীতে প্রায় প্রতিটি থানা এলাকায় এক হাজারের মতো আবাসিক হোটেল আছে। এসব হোটেলের একটি অংশে প্রশাসনের জ্ঞাতসারেই চলে অবৈধ ব্যবসা। হোটেল মালিকেরা দিন হিসাবে প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের নগদ অর্থ প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তার কাছে পৌঁছে দেন। শুধু প্রশাসন নয়, এলাকার প্রভাবশালী অনেকেও সাপ্তাহিক, মাসিক ভিত্তিতে এসব হোটেল থেকে তোলে বিপুল পরিমাণ চাঁদা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পর্বতা সেনপাড়ার এক ব্যক্তি জানান, মিরপুর এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে আবাসিক হোটেলে অবৈধ ব্যবসা বন্ধ ছিল। তবে সম্প্রতি হোটেল মালিকরা মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে নতুন করে ওই ধরনের অবৈধ ব্যবসা শুরু করেছে। আর মানুষকে জানান দিতে শুরু করেছে আগ্রাসী প্রচারণা। হতাশ কণ্ঠে ওই ব্যক্তি আরো বলেন, লেখালেখি করে তেমন লাভ হয় না। মিডিয়ায় লেখালেখি হলে মাঝে মধ্যে পুলিশ দু-একটি অভিযান চালায়। কিছু নারী-পুরুষ আটক হয়। উচ্ছেদ অভিযান বলতে যা বোঝায় আসলে তা করা হয় না।