বগুড়ার কিছু আবাসিক এলাকা এখন মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বগুড়া শহরতলীর মাটিডালি বিমান মোড় এলাকা থেকে উত্তরদিকে ৩ মাথা রেল গেইট পর্যন্ত এলাকার নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে ১১টি মোটেল, আবাসিক হোটেল, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট কাম আবাসিক হোটেলে বিরতীহীন ভাবে চলছে দেহ ব্যবসা । এই এলাকায় অতি সম্প্রতি কয়েকটি নতুন চাইনিজ কাম আবাসিক হোটেলে তৈরি হয়েছে মূলত দেহ ব্যবসার জন্য এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
অভিযোগ রয়েছে, এই সব হোটেল, মোটেল ও আবাসিকে শুধু দেহ ব্যবসায় চলে না বরং মাদক সেবন, মাদকের চালান হস্তান্তর, ঘুষ লেনদেন, চাঁদাবাজির টাকাও হস্তান্তর করা হয়।
একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাটের পরিচালিত অভিযানে বগুড়া শহরতলীর মাটিডালি বিমান মোড়ের কাছে অবস্থিত মোটেল ক্যাসেল সোয়াদের ভেতর থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ১৯ নারী পুরুষ আটক হয়। আটককৃতদের মধ্যে কাউকে কাউকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অর্থদন্ড দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় কাউকে কাউকে আবার কারাদন্ড দিয়ে পাঠানো হয় বগুড়া জেলা কারাগারে। এমনকি এই মোটেলের মালিকের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অর্থদন্ডসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলেও তিনি সংযত না হওয়ায় তাকে ৫ লাখ টাকাও জরিমানা করা হয়। হোটেল ক্যাসেল সোয়াদ ছাড়াও গত কয়েক মাসে হোটেল টাইম স্কয়ার, ড্রিম প্যালেস, নীল সাগর, গোধুলীতে অভিযান চালিয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনী। বগুড়া শহরতলীর ৪ মাথায় অবস্থিত সেঞ্চুরি মোটেলে চলছে প্রায় প্রকাশ্যেই নারী ব্যবসা। এই মোটেলেও ইতোমধ্যেই গত এক দশকে ১০/১২ বার অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মোটেলটির মালিকসহ ম্যানেজার ও কর্মচারির বিরুদ্ধে নারী ব্যবসা ও নারী ধর্ষণ সংক্রান্ত একাধিক মামলা চলমান রয়েছে । তবে অভিযুক্ত হোটেল মোটেল ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টগুলোর মালিকরা সবাই সম্পদ ও প্রভাবশালী হওয়ায় সেই সাথে নারী ব্যবসায় নগদ লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় কেউ এই লাভের ব্যবসা বন্ধ করছেন না।
Source: https://www.dailyinqilab.com/