সৌদি আরবে নিয়ে দেহ ব্যবসা

বরগুনার তালতলী উপজেলার পাজরা ভাঙ্গা গ্রামের দুই সন্তানের জননী লাইলী বেগমকে সৌদি আরবে গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার নাম করে প্রতারক চক্র পতিতাবৃত্তি করাচ্ছেন। এমন অভিযোগে ভাই সোনা মিয়া জসীম ও সুভাষের নামে তালতলী থানায় মামলা করেছে। পুলিশ জসীম মিয়াকে আটক করেছে। অভিযোগ থেকে জানা গেছে, লাইলীকে সৌদি আরবে গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার নাম করে একই এলাকার জসিম ও সুভাষ গত বছর এপ্রিল মাসে নগদ ৪০ হাজার টাকা নেয়। পরে ওই চক্রটি তার বোনকে ঢাকায় এক প্রতারক চক্রের হাতে বিক্রি করে দেয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে বোনের খবর পায়নি। কিছুদিন পরে বোন লাইলী বেগম মুঠোফোনে জানান, তাকে প্রতারক চক্র দেহ ব্যবসায় নামিয়েছে। বর্তমানে তার ওপর অমানষিক নির্যাতন চালাচ্ছে। জসীম ও সুভাষের কাছে তার বোনের সন্ধান জানতে চাইলে তারা জানাতে অস্বীকার করে। এ ঘটনায় ভাই সোনা মিয়া জসীম ও সুভাষের বিরুদ্ধে তালতলী থানায় ১৯ ফ্রেরুয়ারি মামলা করেছে। পুলিশ ২৩ ফেব্রুয়ারি জসীমকে গ্রেফতার করে আমতলী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাসের আদালতে প্রেরণ করেন। আদালতের বিচারক তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দিয়েছে। লাইলীর ভাই সোনা মিয়া মুঠোফোনে জানান, তার বোনকে গার্মেন্টস ভিসার পরিবর্তে জসীম পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। আমার বোন মুঠোফোনে জানিয়েছেন, ৩-৪ মাস এক জায়গায় রাখার পরে স্থান পরিবর্তন করছে। ওই খানে অমানষিক নির্যাতন করছে। দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বোন অনুনয়-বিনয় করছে। তিনি আরও জানান, লাইলীকে দেশে আনার জন্য আমি জসিমকে চাপ দেই। পরে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি আমার বোন দেশে ফিরবে বলে প্রতারক জসিম আমাকে প্লেনের ভুয়া টিকেট ধরিয়ে দেয়। আমি এ্যাম্বাসিতে গিয়ে জানতে পারি টিকেট ভুয়া। পরে থানায় মামলা করেছি।

See also  দেহ ব্যবসার জন্য ৩ হাজার টাকায় হোটেল ভাড়া