সুনামগঞ্জ আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা – হোটেলের আড়ালে দেহ ব্যবসা, হাতেনাতে ধরা

সুনামগঞ্জ আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা – হোটেলের আড়ালে দেহ ব্যবসা, হাতেনাতে ধরা

সুনামগঞ্জ আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা – হোটেলের আড়ালে দেহ ব্যবসা, হাতেনাতে ধরা

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামরচর বাজারে হোটেল ব্যবসার আড়ালে উঠতি বয়সী নারীদের নিয়ে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। অভিযুক্ত হোটেল ব্যবসায়ী প্রেমতোষ দাস দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুন্দরী কম বয়সী নারীদের এনে হোটেল ব্যবসার আড়ালে দেহ ব্যবসার এই হাট বসিয়ে প্রতিনিয়ত কামিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি আইন শৃংখলাবাহিনীর চোখ ফাকিঁ দিয়ে এ সমস্ত অপকর্ম করলেও থেকে গেছেন সবার আড়ালে। এসব ঘটনা অনেকেই জানার পরও মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলছেন না।  অপরদিকে এই নারী ব্যবসার কারণে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা প্রতিনিয়ত হচ্ছেন বিপদগামী।

ফলে যুবকদের অভিভাবকরা রীতিমতো তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। হোটেল ব্যবসায়ী গ্রেমতোষ দাস শ্যামারচর গ্রামের মৃত গ্রেমানন্দ দাসের ছেলে। সে এখনো অবিবাহিত বলেও জানা গেছে।

See also  ডোমারে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রমরমা দেহব্যবসা, শিক্ষক গ্রেফতার

গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা থেকে রাতে এক কম বয়সী নারীকে নিয়ে আসে তার হোটেলে। পরে ওই নারীকে খদ্দের হাতে তুলে দিয়ে রাতভর চালায় দেহ ব্যবসা। ঘটনা জানাজানি হয়ে গেলে সেই নারীর দালাল গ্রেমতোষ দাস চরম বিপাকে পড়েন। পরবর্তীতে স্থানীয় শ্যামারচর গ্রামের সুমন মিয়া এসে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দিলে এ যাত্রায় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যান নারীর খদ্দর প্রেমতোষ দাস।

তার এমন অপকর্মের প্রতিকার চান স্থানীয়রা। দেহ ব্যবসায়ী প্রেমতোষ দাস শেষ পর্যন্ত লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি লাভ করেন।

এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী ও বিষয়টি নিষ্পত্তিকারী শ্যামারচর গ্রামের মো. সুমন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “সাবাজ মিয়া নামে আমার এক বন্ধু ফোনে আমাকে জানায় প্রেমতোষ পাগলা দেহ ব্যবসার উদ্দেশ্যে তার হোটেলে এক নারীকে নিয়ে এসেছেন। তিনি পরে বিষয়টি দিরাই থানা পুলিশকে অবহিত করেন।

See also  নওগাঁয় ৪ দেহ ব্যবসায়ী ও ২ খদ্দেরের জেল

‘এই প্রেমতোষ ভাল মানুষ বলে এতদিন জানলেও গত মঙ্গলবার রাতে সরাসরি যখন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এক নারীসহ তাকে হাতেনাতে ধরা হয় তখন বুঝতে পারলাম সে একজন দেহ ব্যবসায়ী।”

এ ব্যাপারে হোটেল ব্যবসায়ী প্রেমতোষ দাসের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সে দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে সত্যতা স্বীকার করে জানায়, “স্থানীয় সাবাজ মিয়া সিএনজি দিয়ে পাগলা থেকে ওই নারীকে নিয়ে রাতে আমার হোটেলে ঢুকেন। আমি হোটেলের পেছনে গেলে সাবাজ আমার দোকানের সার্টার লাগিয়ে মেয়েটির সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। আমিও ঘরের ভেতরে ঢুকলে একটু পরে স্থানীয় জসিম মিয়া এসে তার বন্ধু পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল নয়নকে নিয়ে এসে ওই নারীসহ আমাকে আটকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে জসিমের ভাই সুমন মিয়া, সামছুল ইসলাম, লিটন ও সুরঞ্জন ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেন। তবে ওই ঘটনার মূলে সাবাজ মিয়া ও জসিম বলে তিনি জানান।

See also  মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ফ্লাট বাসায় রমরমা দেহ ব্যবসা

এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম জানান, “খোঁজ নেয়া হচ্ছে, এ ধরনের ঘটনার সাথে প্রেমতোষের জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”