পীরগঞ্জ উপজেলা হতে প্রায় ১৩ কিঃমিঃ দক্ষিণ পশ্চিম এ ৫ নং মদনখালী ইউনিয়ন অবস্থিত উপজেলার একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র “আনন্দ নগর”।
দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থী বেড়াতে আসে এখানে।এখানকার স্থাপনা ও প্রাকৃতিক পরিবেশ মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। অনৈতিক কর্মকান্ডের ফলে অনেকে আবার আসতে চায় না এখানে। “আনন্দ নগরের” সূচনা লগ্ন থেকে এখানে বিনোদন কেন্দ্রের নামে দেহ ব্যবাসা চলে আসছে।সরেজমিন ঘুরে দেখা গিয়েছে এখানে দেহ ব্যবসার উদ্দেশ্য ১৫-১৬ টি রুম ও আছে।এ ব্যবসা চালানোর জন্য আরও ৫ জন লোক প্রত্যক্ষ ভাবে এবং এর বাহিরে আরও ৮-১০ পরোক্ষ ভাবে জড়িত। এই সিন্ডিকেটের পুরোটা নিয়ন্ত্রন করেন “আনন্দ নগরের” ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃমোস্তফা রহমান। তার নির্দেশ এ দীর্ঘদিন যাবৎ এই সিন্ডিকেট দেহ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বলে এখানে দেহব্যবসাই মূল উদ্দেশ্য, দেহ ব্যবসার কারণে এখানে পর্যটক সমাগম ঘটে।
এ বিষয় নিয়ে “আনন্দ নগরের” ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃমোস্তফা রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলে আমরা প্রশাসন কে ম্যানেজ করেই এই ব্যবসা চালাচ্ছি, তিনি সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলে আপনার যা করার করে নিন,কিচ্ছু করতে পারবেন না,এর আগে অনেক সাংবাদিক পানি খেয়ে গিয়েছে। সেখানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ অফিসার জানায় এখানে কি চলে তা জানা থাকলেও কিছু করার নেই আমার। উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া আমার কিছুই করার নেই।স্থানীয় লোকজন বলে পুলিশ একাধিক বার অভিযান চালিয়ে যৌনকর্মীদের কে আটক করলে কোন কিছু না করে কিছুদূর গিয়ে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য পীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। “আনন্দ নগরে” দেহব্যবাসা বন্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না কেন এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাবা ওয়াহিদা খানমের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
স্থানীয় লোকজন ও সচেতন মহল মনে করেন, প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ এ পারে “আনন্দ নগর” এ দেহব্যবসা বন্ধ করতে।