ময়মনসিংহের পুরনো ঠাকুর বাড়িতে হয় দেহ ব্যবসা!

ময়মনসিংহের পুরনো ঠাকুর বাড়িতে হয় দেহ ব্যবসা!

ময়মনসিংহ নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রমেশ সেন রোডে বৃটিশ আমলের নির্মিত হয়েছিল “ঠাকুর বাড়ি”। সেই সময় কালে সনাতন ধর্মের পুজাঁ অর্চনার করার ঠাকুর থাকতেন এ বাড়িতে। এখন এটি পতিতা পল্লীর, পতিতা বসবাসের একটি বাড়ী। এখানে হয় এখন দেহ ব্যবসা। মূল পতিতা পল্লী রমেশসেন রোড জুরেই।

সেখানে প্রায় ৫ শ যৌনকর্মীর বসবাস রয়েছে। নগরীর গাঙ্গিনারপাড় এলাকা দিয়ে ঢুকতেই রমেশ সেন রোড, দেয়াল পেরিয়ে গেলেই বহু পুরানো ঠাকুর বাড়ী চোখে পড়বে। নিপুন কারো কাজের এই বাড়ি পর্যটকদের জন্য আকর্শনীয় হলেও বাড়িটি লীজে দিয়ে প্রতুতত্বের সকল স্মৃতি নষ্ট করে ফেলা হয়েছে! সাজাপ্রপ্ত এক ব্যক্তির নামে বাড়িটি লীজ দেয়া হয়েছে! সে লীজের শর্ত ভঙ্গ করে কারোকাজ বিনষ্ট করে, পূর্বেকার ২৪ টি রুমের উপর বানিয়েছে আরো ২৪ টি রুম।

See also  দিনাজপুর আবাসিক হোটেল ও রেল ষ্টেশন দেহ ব্যবসা মিনি পতিতালয় সব তথ্য | Dinajpur Abasik Hotel Deh bebsa

লীজে এমন শর্ত থাকার কথা নয়। আর এই ঠাকুর বাড়িতে হয় এখন যৌন কর্মীদের দেহ ব্যবসা! এমন শর্তে কি জেলা প্রশাসন বাড়িটি লীজ দিয়েছেন, তাও শহরবাসীর অজানা।জানা যায়, এই বাড়িটি বৃটিশ আমলে নির্মিত হয়ে ছিল।

বৃষ্টিশের পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রনালয়ের অর্পিত সম্পত্তি বলে জানা গেছে। প্রথম জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লীজ নিয়েছিল সেখানকার জাহিদ নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু তার মৃত্যু পর তারই বেতনভূক্ত কর্মচারী (ম্যানেজার) আলহাজ্ব নুরু মিয়া জালজালিয়াতির মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজের নামে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে লীজ নেয়।

নুরু মিয়া একটি মামলার যাবতজীবন সাজা প্রাপ্ত আসামি। তবে রায় হওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করে এখন তিনি জামিনে রয়েছে বলে জানা গেছে।

See also  ফরিদপুর জেলা আবাসিক হোটেল দেহ ব্যবসা | Faridpur registered potitaloy

এটি দীর্ঘ কয়েক যুগ আগের ঘটনা। তবে এই লীজকৃত বাড়ীটিতে চলে যৌন ব্যবসা। সেই সঙ্গে দেদারছে চলছে মাদক ব্যবসাও। ঠাকুরবাড়ীতে ২৪ টি রুম রয়েছে। নূরু মিয়া অদৃশ্য ক্ষমতার বলে ও কোন এক অসৎ কর্মকর্তার নির্দেশে বাড়িটি দুতলা বানিয়ে ফেলেন।

এখন এই বাড়িতে ৪৮ টি রুম। এই ৪৮ টি রুম থেকে প্রতিদিন ৭শত টাকা করে ভাড়া দিতে হয় যৌনকর্মীদের। ৬০ জনের বেশী যৌনকর্মী থাকেন ঠাকুর বাড়িতে। এখানে ১২ টি দোকান রয়েছে যা পৌরসভার (বর্তমান সিটি কর্পোরেশন) এর ড্রেনের উপর। প্রতিদিন এক একটি দোকান বাবত ৩শত টাকা ভাড়া।

বাসা ও দোকান নিয়ে গড় ভাড়া উঠে প্রতিদিন ৪০ হাজার টাকারও বেশি। নুরু মিয়াকে কে-না চেনে এই শহরে ? যার এক সময় নূন আনতে পান্তা ফুড়াতো। সেই ব্যক্তি এই ঠাকুর বাড়ী লীজ নিয়ে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।

See also  নওগাঁ জেলার আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা ভিডিও ও বিভিন্ন পর্যটন এলাকা আসার উপায় | Naogaon Abasik Hotel

যৌন পল্লীর অনেকেই বলেন, এই লীজকৃত বাড়ীটির ভাড়া উত্তোলন করে প্রশাসনের বড় কর্তাদেরও নাকি টু-পাইস দিতে হয়। নুরু মিয়া এক সময় বালুর চর ও ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে তিনতাশ ও চরচড়ী নিয়ে জুয়ার আসর বসাতো। জুয়ার আসর থেকে যে কয়টি অর্থ উপার্জন হতো তা থেকেই তার সংসার চলতো নুরু মিয়ার।