মাধবদীতে তিনটি আবাসিক হোটেলের লাইসেন্সে অবাধে চালানো হচ্ছে মাদক ও দেহ ব্যবসা। নষ্ট হচ্ছে এলাকার কিশোর ও যুব চরিত্র। জেলা প্রশাসন লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে পতিতাবৃত্তি চালানোর দায়ে মাঝে মাঝে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে পতিতা ও খদ্দের আটক করে সিলগালা করলেও হোটেল মালিকদের বিরুদ্ধে লাইসেন্সের শর্তের কাজ করার ব্যাপারে কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ায় দেহ ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন এ ব্যবসার অন্তরালে বিভিন্ন অপরাধের প্রসার ঘটিয়ে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এসব হোটেলে শুধু দেহ ব্যবসাই নয় মাদকের ও স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। কারণ এসব হোটেল মালিক কেউ এ এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নন। মাধবদী বাসস্ট্যান্ডের সাথে কুমিল্লার হোসেন ও দিনাজপুরের আজম ম-ল এখানে এসে ভুয়া নাম (রানা নাম) ধারণ করে হোটেল ঈগল নামে একটি আবাসিক হোটেল খুলে বেশ ক’বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পতিতাদের এনে দেদারসে পতিতা ব্যবসা করা শুরু করে। স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী ও প্রশাসনের কিছু অসাধু ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় হোটেলের নামে তার এ পতিতা ব্যবসায়ের ব্যাপারে বিভিন্ন সময়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পতিতা, খদ্দের ও তার ম্যানজার ইব্রাহীমকে আটক করে নিয়ে যায়।
কিন্তু ধূর্ত রানা মোটা অংকের টাকা খরচ করে আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জামিনে বের হয়ে আবারো পুরোদমে পতিতাবৃত্তি ব্যবসা শুরু করে। অপরদিকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে হোটেল ঝিনুক নামে আরেকটি আবাসিক হোটেলে চলছে প্রতিতাবৃত্তি। এদের বিরুদ্ধে লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করে এলাকায় অশান্তি সৃষ্টিকারী হিসেবে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করে স্থানীয়রা।
Source:: http://www.djanata.com/index.php?ref=MjBfMDFfMTRfMTVfMV81XzFfOTgwNDE=