ময়মনসিংহ আবাসিক হোটেলে দিন, রাত অবাধে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা । ১ নং পুলিশ ফাড়ি থেকে মাত্র ২০ গজ দূরে হোটেল খান ইন্টারন্যাশনালে নারী দেহ ব্যবসার সংবাদ পাওয়া গেছে । দীর্ঘদিন ধরে এ হোটেলে অসাজিক কার্জকলাপের অভিযোগ থাকলেও তা বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঠিক নজরধারী না থাকায় হোটেলে ধর্ষনের ঘটনাও ঘটে । তার প্রমাণ তারিখ ২২ আগষ্ট রাত ট্রাংপট্রী খান ইন্টারন্যাশাল হোটেলে ধর্ষন ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। এ ছাড়াও ময়মনসিংহ চরপাড়া, ছোট বাজার,স্বদেশী বাজার ট্রাংপট্রী এলাকা বেশ কিছু আবাসিক হোটেলে চলছে দেহ ব্যবসা। গ্রামের সহজ সরল মেয়েদের প্রলোবন দিয়ে স্ট্যাফেরা এনে দেহ ব্যবসা বাধ্য করেন বলে খবর রয়েছে- আবার কেউ কেউ নিজের ইচ্ছায় বেঁছে নিয়েছে এ পেশা। দেহ ব্যবসা জড়িয়ে পরা অসহায় নারীরা জানালেন তাদের জীবণের করুণ কাহিনী। এদের অনেকেই অভাবের তাড়নায় এসেছেন এই পেশায়। কোন কোন হোটেলের ম্যানেজার পেশাদার পতিতাদের সকালে হোটেলে উঠিয়ে রাখে। তার মধ্যে ট্রাংপট্রির হোটেল খান ইন্টারন্যাশনাল অন্যতম। কোন প্রেমিক প্রেমিকা হোটেলে উঠেই জানতে চায়,পুলিশের সমস্যা নেইতো? বয় বা ম্যানেজার অভয়বাণী দেন “ মানতলী করা আছে”। সুত্র জানায় ,ময়মনসিংহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৩০/৩২ টির মতো আবাসিক হোটেল আছে। এর মধ্যে অধিকাংশ হোটেলে নিরাপদে অসামাজিক কার্যকলাপ করেন । এ সকল হোটেলে তাদের নিজস্ব দালাল রয়েছে । যৌন কর্মীর এক দালাল জানান,এসব হোটেল থেকে প্রতি মাসে পুলিশ পাচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। শুধু পুলিশ না আরও কথিত নেতারাও সাপ্তাহিক, মাসিক চাঁদা নেয় বলে তিনি জানান। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনের অনেকেই জাললেও কিছু করছে না। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো দু’একটি অভিযান করে চর পাড়া এলাকায় । যদি হোটেলে ধরা পড়ে অজ্ঞাত কারনে পুলিশ তাদের হোটেলেই ছেড়ে দেয় বলে সুত্রে প্রকাশ- লাকী (ছদ্মনাম) এক যৌনকর্মী জানান আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার ও বয়-বেয়ারারা এক জন খদ্দেরের কাজ থেকে যে টাকা নেয় তার ৫০ ভাগ তাদের দেয়,বাকি টাকা তারা ভাগ করে নেয়। অনেক পেশা দার যৌনকর্মী অবশ্য নিজেরাই কার্ড বিলি করে। এসব কার্ডে সাধারণত মধ্যস্থ তাকারীর মোবাইল নম্বর থাকে।পার্ক এলাকা তাদের তৎপরতা বেশি। অনেক খদ্দের জানায়, হোটেল খান ইন্টারন্যাশনাল হোটেল এখন সব চেয়ে নিরাপদ,সঙ্গে পুলিশ ফাড়ি, তারা দেখলেও কিছু বলেনা। হোটেল মালিকের সঙ্গে অনেক পুলিশের উঠাবসা। ময়মনসিংহ হোটেল খান ইন্টারন্যাশনালে আবাসিক হোটেলের সামনে প্রতিদিন অবস্থান করে বয় ও দালাল চক্র। টার্গেট করা খদ্দেরদের তারা ডাকে মামা বলে। কাছে এলেই ধরিয়ে দেয়া ভিজিটিং কার্ড।এক হোটেল বয় নাম না বলা শর্তে বলেন, একজন খদ্দের যোগার করে দিলে আমাদের কে ২০০ টাকা দেয় হোটেল কর্মচারী হিসাবে তো মাসিক বেতন আছেই। এছাড়া একজন খদ্দেরকে ভিতরে নিয়ে আসা আবার নিরাপদে তাদের রাস্তায় পৌঁছে দেওয়া ও তাদের দায়িত্ব। এ হোটেল থেকে একাধিকবার পুলিশ ছেলে মেয়ে ধরে নিয়েছে। সাজা কম! ২ শ টাকা জরিমানা দিয়ে কোর্ট থেকে ছাড়া পেয়ে গেছে। এদিকে ২২ আগষ্ট রাত গাজীপুরের এক নারী ধর্ষনের শিকার হয় ৩০১ নাম্বার রুমে। এ ব্যপারে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষক মারুফকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে মামলার মাধ্যমে এখন চলমান মামলা।
Source:: http://sokalerbangla.com/