বাণিজ্যের কত প্রকারই না ধরণ! কেউ রূপের ফাঁদে ফেলে মানুষ ঠকায়, আবার কেউ প্রেমের ফাঁদে ফেলে পকেট ভরে। কমার্শিয়াল এই যুগে মানুষের দেহ-মন সবই এখন অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার। প্রযুক্তির এই যুগে সেসব আরও সহজতর হয়ে উঠেছে। মোবাইল ফোনের পরিচয়েই প্রেম-বিশ্বাস করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছুটে যাচ্ছে প্রেমিক-প্রেমিকারা। তারপর শিকার হচ্ছে প্রতারণার। চাকরি দেবার নাম করে, বিয়ে করার কথা বলে করানো হয় দেহ ব্যাবসা। এমনই এক ছদ্মবেশী প্রেমিক চক্রকে আটক করেছে পুলিশ।
ফেনীর রামপুর সৈয়দবাড়ি সড়কের বাসা থেকে রাজধানীর কলেজপড়ুয়া এক তরুনিকে উদ্ধার করলে সে পুলিশকে জানায়, সে ঢাকার মিরপুর এলাকার কলেজপড়ুয়া মেয়েটির সঙ্গে পরিচয় হয় রামপুরের সৈয়দবাড়ি লেনের কাওসার বিন কাশেম নিলয়ের সঙ্গে। প্রায় ছয় মাস আগে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়।
সেই পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্কে তৈরি হলে ছয় মাসের মাথায় মা-বাবার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাকে গত বছরের অক্টোবরে প্রথমে কক্সবাজারে বেড়াতে নিয়ে যায় নিলয়। পরে সেখান থেকে ফেরার পথে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে তাকে মহীপালে নামানো হয়।
এরপর সৈয়দবাড়ির কাশেম কটেজে নিয়ে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। ওই বাসায় গিয়ে চক্ষু ছানাবড়া ওই তরুণীর। বাসায় জিম্মি আরও দুই নারী। জানতে পারেন চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে তাদের আনা হয়।
এটি তিন মাস আগের কথা। শহরের ওই তরুণীকে উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যকর এই তথ্য বেরিয়ে আসে। এ সময় আরও দুই নারীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের লোভনীয় বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সেখানে নেওয়া হয়। এই তিন মাস ধরে তাদের দিয়ে করানো হয়েছে দেহ ব্যবসা। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই তিন মাস তরুণীদের বাধ্য করা হয়েছে দেহ ব্যবসা করাতে। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে খবর দিলে শহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহজাহান মিয়া তালা ভেঙে বাড়িটিতে হানা দেন। উদ্ধার করা হয় তিন তরুণীকে।
এই ঘটনায় নিলয় ছাড়াও আটক করা হয়, ফেনী সদর উপজেলার মধ্যম কাছাড় গ্রামের সায়েম, সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের ব্রামনী বাজার গ্রামের আলিফুল ইসলাম আরমানকে।
পরে ওই কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করে। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, তিন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তার তিন বখাটেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
source:: https://www.fenirhalchal.com/out-of-city/4977