নরসিংদী সার্কিট হাউজের সামনে প্রকাশ্যে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা, প্রশাসনের নিরব ভূমিকা

নরসিংদী সার্কিট হাউজের সামনে প্রকাশ্যে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা, প্রশাসনের নিরব ভূমিকা

নরসিংদী আবাসিক এলাকা জেলা সার্কিট হাউজের সামনে লাবণীর মা’র বাড়ি নামক এক বাড়িতে প্রকাশ্যে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। যেখানে অভিযান চালালেই ধরা পড়ে দেহপসারিনী নারী ও পুরুষ। কিন্তু কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না এই অসামাজিক কর্মকান্ড। এ ঘটনায় ত্যক্ত-বিরক্ত এলাকাবাসী .

 

এক সূত্রে জানা যায়, গত ০৪ অক্টোবর বুধবার দুপুরে লাবণীর মা’র বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩/৪ জন নারী ও পুরুষকে আটক করা হয়। কিন্তু, পরে ওসি’র নির্দেশে জিম্মানামা মূলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, পূর্বেও এভাবে অবৈধ দেহ ব্যবসা করার কারনে লাবণী ও লাবণীর মা’কে আটক করা হলে পরে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো দেহ ব্যবসা করে আসছে।

নরসিংদী সার্কিট হাউজ এলাকার এ বাড়িটিকে নিরাপদ স্থান হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই অসামাজিক কার্যকলাপে। যাতে রয়েছে ছোট ছোট রুমে অবৈধ সম্পর্কে (যৌন মিলন) লিপ্ত হওয়ার নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

See also  নেত্রকোনায় পৌর শহরে দেহব্যবসার রমরমা বানিজ্য

সরেজমিনে বাড়িটি ঘুরে দেখা গেছে, লাবণীর মা’র বাড়ি নামে খ্যাত বাড়িটি মূলত এক একটা বড় আকারের পতিতালয়। প্রতিদিন এ বাড়িতে ভিড় জমায় যুবক যুবতী ও অসংখ্য যৌন কর্মীরা। এ বাড়িতে এসে অবৈধ সম্পর্কে (যৌন মিলন) লিপ্ত হয় উঠতি বয়সের তরুন-তরুনী ও যৌন কর্মীরা বিশেষ করে কলেজ পড়–য়া ছাত্র -ছাত্রীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সার্কিট হাউজের এক কনফেকশনারী দোকানদার জানান, লাবণীর মা’র বাড়িতে প্রতিদিনের গেস্ট তরুন-তরুনী, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী ও যৌন কর্মীরা। তারা এ বাড়িতে ঢুকবে, ঘন্টা দুয়েক অবস্থান করবে, তারপর চলে যাবে। এখানে তেমন কোন বাইরের গেস্ট আসেনা। এতে ক্রমেই বাড়তে থাকা দেহ ব্যবসার কারণে এ আবাসিক এলাকায় বসবাসরত লোকজন ইমেজ সংকটে পড়েছে। এ বাড়িতে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও বিত্তশালী পরিবারের সন্তানদের রয়েছে আনাগোনা। তিনি আরো বলেন, লাবণীর মা’র বাড়িটি গেস্টহাউস বানিয়ে প্রায় ১০/১২ বছর ধরে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছে। পুলিশকে ম্যানেজ করে এখানে অবৈধ দেহ ব্যবসা কার্যক্রম চলছে। প্রতিদিন সকালে ও রাতে সিএনজি ট্যাক্সি রিক্সা করে ৩০/৪০ নারীকে আসতে দেখা যায়।

See also  খাগড়াছড়ির যেসব আবাসিক হোটেলে অবৈধ দেহ ব্যবসা চলে | Khagrachari Abasik Hotel

তিনি বলেন, আবাসিক এলাকায় এ বাড়িটির কারণে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বাসিন্দাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ বাড়িতে দেহ ব্যবসা বন্ধের জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছিল। তারপরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। স্থানীয় লোকজন জানান, এলাকার অভিজাত এ বাসাটি দেখলে বোঝার কোনো উপায় নেই যে এখানে আড়ালে দেহ ব্যবসা চলে। প্রশাসনের প্রধান প্রধান কার্যালয় আশেপাশে থাকা স্বত্ত্বেও এ বাসায় দেহ ব্যবসার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয় না।

সরেজমিনে জানা যায়, প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য অনেক ব্যক্তিই দেহ ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। প্রতিষ্ঠিত পরিবারের অনেক সন্তান ও জড়িয়ে পড়েছেন। এমনকি অনৈতিক কর্মকান্ডে অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় চলে অবৈধ এ ব্যবসা। এলাকার অন্য এক সচেতন ব্যক্তি জানান, নরসিংদী সার্কিট হাউজ আবাসিক এলাকায় এ বাড়িটিকে ঘিরে অসামাজিক কর্মকান্ড- ছড়িয়েছে ব্যাপকভাবে। আড়ালে চলছে অসামাজিক কাজ। পরিবেশ এতই খারাপ হয়েছে যে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘরে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

See also  ঢাকায় দেহ ব্যবসায় বেশি বিবাহিত নারীরা!

তিনি জানান, অনৈতিক এ ব্যবসায় বর্তমানে শীর্ষে রয়েছে ডলি ও তার মোঃ মোশারফ, ডলিসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা। লাবনীর মা’র বাড়িটি ডলি নিজেই পরিচালনা করেন। সার্কিট হাউজ আবাসিক এলাকায় অসামাজিক কাজ চলছে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এ অবৈধ ব্যবসা। এ বিষয়ে জানতে আগামী সংখ্যায় চোখ রাখুন…..।

Source: https://www.somoyerkonthosor.com/2017/10/05/174126.htm