দৌলতদিয়া যৌনপল্লি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গণিকালয়। এটি এশিয়ার সবচেয়ে বড় গণিকালয়গুলোর একটি।এখানে প্রায় চার হাজার যৌনকর্মী পতিতাবৃত্তি পেশায় জড়িত।
অবস্থান
দৌলতদিয়া পতিতালয়টি বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার অন্তর্গত গোয়ালন্দ উপজেলায় অবস্থিত. গোয়ালন্দ উপজেলার একটি ইউনিয়ন হলো দৌলতদিয়া। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পতিতালয়টি অবস্থিত।
ইতিহাস
বাংলাদেশে অনুমোদিত ১৪টি পতিতালয়ের মধ্যে দৌলতদিয়া পতিতালয় একটি। রাজবাড়ি জেলার দৌলতদিয়া পতিতালয় বাংলাদেশের তথা বিশ্বের সবচেয়ে বড় পতিতালয়গুলোর একটি। ১৯৮৮ সালের দিকে এটি প্রতিষ্ঠিত বলা হলেও উক্ত স্থানে বহুকাল আগে থেকেই পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত ব্যক্তিরা বসবাস করতেন এবং অনুমোদিত ও অবৈধ পতিতালয় হিসেবে বেআইনি ভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। বর্তমানে এখানে দাপ্তরিক হিসেবে প্রায় দেড় হাজার যৌনকর্মী বসবাস করেন এবং প্রতিদিন প্রায় ২০০০ থেকে ৩০০০ জন ব্যক্তি এখানে যৌন সেবা নিতে আসেন। দৌলতদিয়ায় ‘মুক্তি মহিলা সমিতি’ নামে পতিতাদের একটি রেজিষ্টার্ড সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠনের রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে এই পতিতালয়ে পতিতার সংখ্যা প্রায় চার হাজার। এখানে প্রায় তিনশ থেকে সাড়ে তিনশ সর্দারনী রয়েছে। এই সব সর্দারনীর আন্ডারে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ জন করে পতিতা কাজ করেন। এইসব সর্দারনী বা বাড়িওয়ালীর প্রতিদিনের সর্বনিন্ম আয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। এছাড়াও অবস্থাশালী বাড়িওয়ালীদের আয় দিনে আনুমানিক ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা।
বিতর্ক
দৌলতদিয়া পতিতালয়টি অনুমোদিত হলেও বিভিন্ন সময় এখানে আইন বহির্ভূত কার্যক্রম যেমন, বেআইনিভাবে জোরপূর্বক কোন মহিলাকে উক্ত পেশায় বাধ্য করা বা নারী পাচারের মত অভিযোগ রয়েছে। পতিতালয়ের অভ্যন্তরে নানা রকম মাদকদ্রব্য বিক্রয় ছাড়াও ঝুকিপূর্ণ ওষুধ সেবন, অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনকর্মী নিয়োগ, তাদের শারীরিক নির্যাতনসহ অনেক অমানবিক ও বেআইনি কার্যক্রম সংগঠিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন এনজিও এবং সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছে যে, যৌনকর্মীরা এখানে অস্বাস্থকর পরিবেশে বসবাস করে এবং অনেক সময় বিভিন্নভাবে তাদের নির্যাতনের শিকার হতে হয়।