দিরাইয়ে হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলছে নারী ব্যবসা!

দিরাইয়ে হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলছে নারী ব্যবসা!

দিরাইয়ে হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলছে নারী ব্যবসা!

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামারচর বাজারে হোটেল ব্যবসার আড়ালে নারীদের নিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা। হোটেল ব্যবসায়ী প্রেমতোষ দাস দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারীদের এনে দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়ত এ অপকর্ম করছে।

এ ঘটনা জানার পরও মানসম্মানের ভয়ে মুখ খুলছেন না অনেকে। অপরদিকে এই নারী ব্যবসার কারণে তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন অভিভাবকরা।

হোটেল ব্যবসায়ী প্রেমতোষ দাস শ্যামারচর গ্রামের মৃত প্রেমানন্দ দাসের ছেলে। সে অবিবাহিত বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা এলাকা থেকে এক নারীকে হোটেলে এনে রাতভর চালায় দেহ ব্যবসা। এই ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রেমতোষ দাস পড়ে বিপাকে। পরবর্তীকালে স্থানীয় শ্যামারচর গ্রামের সুমন মিয়া বিষয়টি সমাধান করে দিলে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পায় প্রেমতোষ।

এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী ও বিষয়টি নিষ্পত্তিকারী মো. সুমন মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘সাবাজ মিয়া নামে আমার এক বন্ধু ফোনে জানায় যে, প্রেমতোষ একটি নারী তার হোটেলে নিয়ে এসেছে দেহ ব্যবসা করার জন্য। তিনি পরে বিষয়টি দিরাই থানা পুলিশকে অবহিত করেন। প্রেমতোষকে সবাই ভালো মানুষ বলে জানত। মঙ্গলবার নারীসহ তাকে হাতেনাতে ধরা হয়, তখন বুঝতে পারলাম সে একজন দেহ ব্যবসায়ী।’

এ ব্যাপারে প্রেমতোষ দাসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সে দেহ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে সে সত্যতা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সাবাজ মিয়া ঐ নারীকে নিয়ে রাতে আমার হোটেলে ঢুকে। আমি হোটেলের পেছনে গেলে সাবাজ আমার দোকানের সার্টার লাগিয়ে মেয়েটির সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। আমিও ঘরের ভেতরে ঢুকলে একটু পরে স্থানীয় জসিম মিয়া এসে তার বন্ধু পুলিশ ফাঁড়ির কনস্টেবল নয়নকে নিয়ে এসে নারীসহ আমাকে আটক করে রাখে। পরবর্তীকালে জসিমের ভাই সুমন মিয়া, সামছুল ইসলাম, লিটন ও সুরঞ্জন ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেন।’ তবে এ ঘটনার মূল সাবাজ মিয়া ও জসিম বলে তিনি জানান।

See also  রংপুর আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা (মিনি পতিতালয়) | কোন কোন হোটেলে পতিতা পাওয়া যায়? Rangpur Abasik Hotel

এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে প্রেমতোষ জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

source: https://www.odhikar.news/country-news/120743