ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে অবস্থিত ডিসি বস্তিতে (খালপাড়া) চলছে রমরমা দেহ ও মাদকের ব্যবসা। এসকল ব্যবসার কথা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন স্বীকার করলেও তাদের গ্রেফতার করছেনা রহস্যজনক কারনে। পুলিশের প্রশ্নবৃদ্ধ ভূমিকায় স্থানীয় সাধারন মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলছে আইন ব্যবস্থার প্রতি।
স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানাযায়, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার ডিসি বস্তিতে (খালপাড়া) দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ ভাবে চলছে রমরমা দেহ ও মাদকের ব্যবসা। গুটি কয়েক লোজনের জন্য সমস্ত বস্তিটি আজ অপরাধ জগতে পরিনিত হয়েছে। আর এর জন্য স্থানীয় পুলিশকে দায়ি করছে ডিসি বস্তিবাসী।
পুলিশকে উৎকচ দিয়ে প্রকাশ্যে দীর্ঘদিন থেকে দেহ ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এই চক্রটি।
ডিসি বস্তি এলাকার খাজার স্ত্রী শাহেদা (২৫) ও চৌধুরী হাট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা সাদিকুল চক্র এখানে প্রকাশ্যে চালাচ্ছে দেহ ব্যবসা। বস্তির কেউ যদি প্রতিবাদ করে তাহলে পুলিশ তাকে আটক করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে এমন অভিযোগ করেন বস্তিবাসী।
অন্যদিকে শশুড় গাজাশাহা (৪৫) তার মেয়ে জামাই শাহিন (২৫) ও খাজা (৩০) চক্রটি প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করছে। বর্তমানে ডিসি বস্তিটিতে গাজা, হেরোইন, ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ সকল প্রকার মাদক পাওয়া যাচ্ছে।
এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান দেহ ও মাদক ব্যবসার কথা স্বীকার করে বলেন, উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরম্নদ্ধে একাধিক মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে। পুলিশ তাদের দীর্ঘদিন থেকে সন্ধান করছে।
তিনি আরো বলেন, শুধু ডিসি বস্তি নয় শহরের বিভিন্ন স্থানে মাদক ও দেহ ব্যবসা হয় তার কথা স্বীকার করেন তিনি। মাঝে মধ্যেই শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ।
উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করে ডিসি বস্তিকে মাদক ও দেহ ব্যবসা মুক্ত করতে প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিকট অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
Source: http://birganjpratidin.com/