
জামালপুর শহরে ভাসমান পতিতাদের দৌরাত্ম্য ব্যাপকভাবে বাড়ছে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ভাসমান পতিতাদের আখ্রায় পরিণত হয়েছে। দিনরাত সব সময় দেহ ব্যবসা মারাত্মক আকার ধারন করেছে। বিশেষ করে জামালপুর রেল স্টেশন মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়েছে। আর শহরের কিছু মাদক ব্যবসায়ী ভাসমান পতিতাদের মাধ্যমে মাদক বিক্রি ও পাচার করছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ভাসমান পতিতারা ইয়াবা ট্যাবলেট হেরোইন, গাঁজা ও ফেনসিডিল বিক্রি করছে। হেরোইন, গাঁজা পুরিয়া হিসাবে বিক্রি করছে। এদের কাছ থেকে কিছু উঠতি বয়সের যুবক এসব মাদক দ্রব্য ক্রয় করে থাকে।
সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে এসব ভাসমান পতিতারা শহরের দেওয়ানপাড়া, কাচারীপাড়া,ফকিরপাড়া, বাগের হাটা, লাঙ্গলজোড়া, সর্দারপাড়া ও বানিয়া বাজার এলাকায় চলে যায়। এসব স্থানে গিয়ে উঠতি বয়সের যুবকদের নেশার মাধ্যমে প্রমোদলীলায় মত্ত্ব থাকে।
একাধিক সুত্রমতে জানা গেছে, ভাসমান পতিতাদের মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীরা গড়ে তুলেছে সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর, দেওয়াগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও জামালপুর সদর উপজেলায় পাচার করছে। এসব উপজেলায় মাদক ব্যবসা মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উঠতি বয়সের যুবক আসক্ত হয়ে পড়েছে। অনেক অভিভাবক নিজ সন্তানকে মাদকের নেশামুক্ত করার জন্য নিরাময় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে চিকিৎসা করার পর পুনরায় নেশার জগতে ফিরছে। এভাবে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। তাই কয়েকজন অভিভাবক এ প্রতিবেদকে বলেন, মাদক ব্যবসা কবে নাগাদ বন্ধ হবে। কেউ কি দেখার কেউ নেই ?
Source:: https://oparadbd.wordpress.com/