বোরকা পড়া, দেখা যায় শুধু চোখ। তাদের চলফেরা আর আচারণে বোঝাযায় তারাই করে দেহব্যবসা। বিভিন্ন যাত্রীদের পটিয়ে নিয়ে যায় আবাসিক হোটেলে। গাজীপুর চৌরাস্তায় প্রকাশ্যে চলে এমন দেহব্যবসা। নিজেরে শরীর বিক্রি করার জন্য যেন মরিয়া হয়ে উঠে এই দেহব্যবসায়ী নারীরা। কোন কিছুকে পরোয়া না করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড।
রাস্তার চলমান মানুষকে প্রকাশ্যে প্রস্তাব দেয় অনৈতিক কাজের জন্য। রিক্সা চালক, সিএনজি চালক সহ বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের টার্গেট।
গাজীপুর চৌরাস্তায় দিনের বেলায়ই বসছে দেহব্যবসার এমন জমজমাট বাজার। বোরকা পরা মধ্য বয়সী নারীরাই সেখানে অবস্থান নিয়ে খরিদদার সংগ্রহের লক্ষ্যে বসিয়েছে দেহ ব্যবসায়ের এ বাজার। সম্প্রতি দেশের বে-সরকারী টিভি চ্যনেল এসএটিভি গাজীপুরের এই ভাসমান পতিতালয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে।
প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে, গাজীপুর চৌরাস্তায় অধিকাংশ যাত্রীই ভাসমান। খরিদদারের আশায় এসব যাত্রীর সাথেই কথা বলেন দেহ ব্যবসায়ীরা। এই ভাসমান যাত্রী থেকেই খরিদদার পটিয়ে পাশে থাকা হোটেলেই নিয়ে যায় এসব পতিতারা।
যারা দিন আনে দিন খায় অর্থাৎ রিকশা চালকদের কাছেই পতিতাদের বেশী যাতায়াত বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও বিষয়টি জানেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে আরও উঠে আসে, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার বিনিময়ে চৌরাস্তা থেকে খরিদদার সংগ্রহ করছে এসব দেহ ব্যবসায়ীরা। পুলিশের সামনেই এ অসামাজিক কাজের বনিবনা হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।
এখানে প্রকাশ্যেই পতিতারা খরিদদার সংগ্রহ করে হোটেলে নিয়ে যাচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখিত চৌরাস্তার বাসিন্দারাও বলছেন। বাসিন্দারা তাদের মা-বোনদের নিয়ে মার্কেটে আসলে এসব পতিতাদের কারণে মানুষ তাদের মা-বোনদেরকেও পতিতা বলে ভাবছে বলেও অভিযোগ তাদের।
Source:: https://www.somoyerkonthosor.com/2016/08/06/22740.htm