গাইবান্ধার রেলওয়ের ষ্টেশনের আশপাশের প্রায়ই প্রত্যেকটি আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে। আবাসিক হোটেল গুলোতে এতোটাই প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসা চলছে সাধারন সভ্য সমাজের মানুষদের চলা ফেরা দুস্কর হয়ে দাঁডিয়েছে। ট্রেনে যাতায়াতকারী সাধারন যাত্রীরা মাঝে মধ্যেই ব্যাপক অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছে। দেহ ব্যবসার পাশাপাশি অসহায় মানুষের সঙ্গে থাকা টাকাসহ যাবতীয় জীনিষ পত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে একটি ছিনতাইকারী চক্র।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাযায়, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের রেলওয়ে ষ্টেশনের আশপাশে অবস্থিত আবাসিক হোটেল গুলোতে জমজমাট ভাবে চলছে দেহ ব্যবসা। এসকল আবাসিক হোটেল গুলোতে ভাসমান পতিতারা এসে দেহ ব্যবসা চালাচ্ছে। সন্ধা হলেই প্রকাশ্যে নানা রঙ্গের পোশাক পড়ে রেলওয়ে ষ্টেশনের সামনে খদ্দের জোগার করতে ব্যস্ত সময় পার করে গভীর রাত্রী পর্যন্ত। এসকল ভাসমান পতিতারা আশপাশের জেলা গুলো থেকে এসে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। আর দিনে আবাসিক হোটেল গুলোতে লোক দেখানো কাজের মহিলা রাখা হযয়েছে ২৫-৩০ বছরের নারী। যাদের দিয়ে দিনের বেলায় দেহ ব্যবসা পরিচালনা করছে হোটেল মালিকরা। এ অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্যন করে ষ্টেশন ও তার আশপাশ এলাকার আবাসিক হোটেল গুলোর মালিকরা রাতা-রাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে।
দেহ ব্যবসার পাশাপাশি রযয়েছে একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দল যারা সব সময় ওৎ পেতে থাকে পতিতারা খদ্দের নিয়ে হোটেলে প্রবেশের পরই তারা হাতে নাতে ধরে খদ্দেরের কাছে যা থাকে তাই কেড়ে নেয়। এ বিষয়ে একাধিকবার স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা গুলোতে সংবাদও প্রকাশ পেযয়েছে। এসকল আবাসিক হোটেল গুলোর নিকটই রযয়েছে জিআরপি থানা আর আধা কিলোর মধ্যে রয়েছে সদর ও কোতায়ালী থানা। এ বিষয়ে কয়েকজন দেহ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, স্থানীয় পুলিশের সাথে হোটেল মালিকদের একটি মাসিক হিসেব রয়েছে তাই পুলিশ তাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনা। পুলিশের মাসিক হিসেবের অর্থ থানার মুন্সির মাধ্যম হয়ে কর্তাদের কাছে পৌছে দেয় বলে জানায।এসকল অবৈধ দেহ ব্যবসা ও ছিনতাইকারী চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় সাধারন মানুষ হতাশ প্রকাশ করছে। ভাসমান পতিতাদের দেহ ব্যবসা ও ছিনতাইকারী চক্রের সকল সদস্যদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি সংশিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চল শহরের সাধারন মানুষ।