গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে চলছে অবাধে দেহব্যবসা। এই সব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধুরা। এমন কি গার্মেন্টস কর্মীরাও। জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকায় ছোট বড় মিলে ৭টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন প্রায় ১০০ যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এবং রাতের বেলায় আবারও অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্য স্থলে চলে যায়। এদের অনেকের অভিভাবক স্বামী বা বাবা মা তারা কেউ জানেন না বিভিন্ন চাকুরী বা পেশার নামে এসব আনান্দ ফূর্তি করে বেড়াচ্ছে। ওইসব আবাসিক হোটেলে অনেকেই আবার ভুয়া স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে পাঁচশ টাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে কয়েক ঘন্টা অবস্থন করে করে চলে যায়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী ও অন্যের স্ত্রী নিয়ে আসে। কয়েক মাস আগে গাজীপুরের পুলিশ ঝটিকা অভিযান করলে এলাকাবাসি সাধুবাদ জানায়। কিন্তু এই অভিযান স্থায়ী হয় মাত্র এক সপ্তাহ। ওই অভিযানে অর্ধশতাদিক আটক করলে তার মধ্যে বেশির ভাগ ছিল অন্যের স্ত্রী ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং এদের মধ্যে একজন ছিল বড় ভাই এর স্ত্রী। পরে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়।
তার পরেও অবাধে চলছে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি সকল আবাসিক হোটেলে দেহব্যবসা। এসব আবাসিক হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল মুন আবাসিক, হোটেল ইয়ার ইন্টারন্যাশনাল, হোটেল গুলশান ভিউ আবাসিক, হোটেল অতিথি আবাসিক, হোটেল রেইনবো আবাসিক, হোটেল ড্রীম ল্যান্ড আবাসিক ও হোটেল আবাসিক গোল্ডীন সান। এই সব প্রতিটি আবাসিক হোটেলে রয়েছে নানা বয়সের যৌন কর্মী এরা ফ্রি স্টাইলে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নির্ভয়ে চালাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ। এই সব দেহব্যবসার সাথে জড়িত হোটেল মুন এর মালিক নাছিরউদ্দিন হাওলাদারের সঙ্গে আলাপ কালে তিনি জানান, পত্রিকায় নিউজ করলে আমাদের কিছুই হবে না । তার কারণ জানতে চাইলে নাছির আরো জানায়, গাজীপুরের প্রশাসনের এক ঊর্ধবতন কর্মকর্তার সঙ্গে রয়েছে মোটা অংকের লেনদেন।
Source:: https://www.gobd24.com/