আট মাস যৌনপল্লীতে থাকার পর যেভাবে পালালেন বিক্রি হওয়া তরুণী

আট মাস যৌনপল্লীতে থাকার পর যেভাবে পালালেন বিক্রি হওয়া তরুণী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে এক তরুণীকে উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালি রোজিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত ওই তরুণীর বাড়ি নাটোর সদর থানায়। তার বাবা হতদরিদ্র কৃষক। অজ্ঞাত পরিচয় এক দালাল গেলো মার্চ মাসের প্রথম দিকে নাটোর থেকে ওই তরুণীকে ঢাকা শহরে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে নিয়ে আসে। পরে যৌনপল্লীর বাড়িওয়ালি রোজিনা বেগমের কাছে মেয়েটিকে বিক্রি করে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই বাড়িওয়ালি রোজিনা মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে আটকে রেখে মেয়েটিকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।

এরই মাঝে ওই পল্লী থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য মেয়েটি বহুবার চেষ্টা চালায়। কিন্তু বাড়িওয়ালি রোজিনা ও তার লোকজনের কড়া নজরদারির কারণে মেয়েটি পালাতে ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় গেলো শনিবার দিনগত রাতে সুযোগ মেয়েটি কৌশলে রোজিনার বাড়ি থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। টের পেয়ে মেয়েটিকে ফিরিয়ে আনার জন্য পিছু নেয় ওই বাড়িওয়ালি। মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে আসে। এ সময় স্থানীয় জনতা মেয়েটিকে উদ্ধার ও সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালি রোজিনা বেগমকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

See also  নাটোর আবাসিক হোটেল দেহ ব্যবসার ভিডিও,জেলার ইতিহাস অন্যান্য তথ্য | Natore Abasik Hotel

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিজে বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালি রোজিনা বেগম ও অজ্ঞাতনামা এক দালালের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা করেন।

গোয়ালন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, মামলার আসামি দৌলতৈদিয়া যৌনপল্লীর বাড়িওয়ালি রোজিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Source:: https://www.rtvonline.com/country/109720/