প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিক প্রেমিকার (কাপলদের) হোটেলে সময় কাটানো কি অপরাধ?

আবাসিক হোটেলে প্রেমিক-প্রেমিকা পুলিশের হাতে আটক হলে কী ধরনের শাস্তি হয়?

বাংলাদেশ দন্ডবিধি আইনের নিম্ন লিখিত ধারায় অভিযুক্ত করতে পারে।

ধারাঃ ২৯০। সর্বসাধারণের আপদ সৃষ্টি করা

কোন ব্যক্তি যদি জনসাধারণের বিরক্তি সৃষ্টিকারী এমন কোন কার্য করে, যার জন্য এই বিধিতে অপর কোন বিধান করা হয় নাই, তবে সে ব্যক্তি দুই শত টাকা পর্যন্ত যেকোন পরিমাণ অর্থ দণ্ডে দণ্ডিত হবে।

আবাসিক হোটেলে প্রেমিকা নিয়ে রাত কাটাতে চাইলে কী কী করতে হয়?

প্রেমিকাকে নিয়ে সময় কাটানোর জন্য কেমন হোটেলে থাকা নিরাপদ?

কোনো মেয়েকে প্রস্তাব দেবার পর উওর না দিলে করণীয় কী?

আইনত তেমন কোনো শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে না। কিন্তু বেআইনিভাবে অনেক শাস্তিই পেতে হবে।

যেমন- মানসম্মানের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হতে পারে। আবার বাসায় যোগাযোগ করে ফ্যামিলি হয়রানি করা হতে পারে। তাই গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড নিয়ে আবাসিক হোটেলে না যাওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয় নিজেদের বাসায় সময় কাটালে। সেটা সম্ভব না হলে বন্ধু বা বান্ধবী যারা ব্যাচেলর থাকে তাদের বলে ম্যানেজ করতে পারেন। এখানেও কিন্তু রিস্ক আছে, তবে পুলিশি হয়রানি থেকে রেহাই পাবেন। রিস্ক হচ্ছে আপনাদের কার্যকলাপ গোপন স্পাই ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা হতে পারে। পরে সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার নাম করে ব্লাকমেইল করা হতে পারে।বর্তমানে এগুলো অহরহ ঘটছে।

 

তাহলে সমাধান কি? আপনি পুরোপুরি রিস্ক ফ্রি থাকতে চাইলে প্রেমিকা/ প্রেমিককে বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করেন। এতে যৌন চাহিদাও পূরণ করতে পারবেন আবার একটি সুস্থ জীবন যাপনও করতে পারবেন।

 

বিশেষ কিছুই না, শুধু স্থানীয় থানায় একটি জিডি রেকর্ড করা হয় এবং তাদের 100 টাকা জরিমানা করা হয়(যতদুর আমি জানি)।

বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিক প্রেমিকার হোটেলে সময় কাটানো কি অপরাধ?

বাংলাদেশে এটা আপেক্ষিক , গুলশান বনানী বা বড় হোটেলে ধনী পরিবারের ছেলেমেয়ে হলে এটা অপরাধ না । আর কম দামী হোটেলে মোটামুটি নরমাল ফ্যামিলির ছেলেমেয়ে হইলে এটা অপরাধ , ভয়াবহ অপরাধ ।

 

বাংলাদেশে প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিক প্রেমিকার হোটেলে সময় কাটানো কি অপরাধ?

অনুরোধ করা হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরের জন‍্য। অনুরোধ না এলে এড়িয়ে যেতাম। যাই হোক আমি ভারতীয়, বাংলাদেশের নিয়মকানুন বলতে পারব না। শুধু যেটা বলব খোলা প্রকৃতি আছে সময় কাটানোর জন‍্য।একসাথে নদীর ধারে বসাই যায়, গল্প করাও যায়। কিংবা রেস্টুরেন্ট বা কফি শপ সবকিছুই আছে। এর বেশি মনে হয়না প্রেমালাপ এর জন‍্য হোটেলের বিশেষ প্রয়োজন। প্রাপ্তবয়স্ক মানেই সবকিছুর অধিকার জন্মে যায় না, নিজের বিবেক বুদ্ধি টাও বজায় রাখতে হয়। এইসব ভাবনা মনে যত কম আসবে তত মঙ্গল। —প্রশ্নটির উত্তর দুইটি দৃষ্টিকোন থেকে দেয়া যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিক প্রেমিকারা হোটেলে সময় কাটাতে পারেন (যার উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে শারীরিক নৈকট্য লাভ বা আনন্দ) তাতে অন্তত আইনের দৃষ্টিতে কোন অপরাধ হবার কথা নয়। আবার বাংলাদেশরে সামাজিক ও নৈতিকতার অবস্থান থেকে বিষয়টি ভিন্নভাবে ভাববার অবকাশ রয়েছে। এখানে প্রেমে প্রেমিক প্রেমিকাকে পরস্পরকে জানবার ও আবেগের বহিঃপ্রকাশে প্রেমালাপ বা একত্রে সাথে চলাফেরা অসঙ্গত নয়। মুলতঃ এটিই ‍নির্ধারন করে জীবন সঙ্গী হিসাবে পরষ্পরকে ’পরবর্তী’ জৈবিক চাহিদা মেটানোর দিকে নিয়ে যাবে কি না। আমার মতে এই “পরবর্তী” পর্যায়টিতেই সামাজিক নীতি ও আদর্শ মেনে চলার দিকটি বাংলাদেশীদের কাছে বিশেষ বিবেচ্য বিষয় হতে পারে যা প্রাপ্তবয়স্ক প্রেমিক প্রেমিকাকে হোটেল কক্ষে অন্তরঙ্গ না হবার দিকেই নিয়ে যায়।

আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*