পটুয়াখালী পতিতালয়

পটুয়াখালী পতিতালয়

যৌনপল্লী দেশের প্রায় জেলায় কমবেশি বিস্তৃতি লাভ করছে। সৃষ্টি হয়েছে ব্রোথেল বা এক ধরনের যৌনপল্লী। যৌনপল্লীর যৌনকর্মী পেশায় যারা সরাসরি সম্পৃক্ত যে সব নারী তাদের অধিকাংশ সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ঘৃনিত ও বঞ্চিত। পুরুষ তার যৌন আকাংখার মেটানোর তাগিদ তৈরি করছেন নারীকে পতিতা বা যৌনকর্মী। যে সকল মেয়েরা যৌনকর্মী আছেন তাদের ৯৯% মেয়েই কোননা কোন ভাবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থারই নির্যাতনের স্বীকার। অবস্থান নিয়েছেন যৌনপল্লীতে/পতিতালয় /হোটেল অথবা রাস্তায়।

বিভিন্ন গবেষণার প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের যে সকল মেয়েরা বিভিন্ন যৌনপল্লীতে যৌনপেশার আছেন তাদের মধ্যে ১% কম মেয়ে স্ব-ইচ্ছায় জড়িত হয়েছে। যদিও শ্রেণীভেদে উচু তলার কিছু নারীরা স্বইচ্ছায় জড়িয়ে পড়েছেন যৌনপেশায়। মধ্যবিত্ত পরিবারের নারীরা সামাজিকতা রাখতে গিয়ে তাদের আয় ব্যয়ের অসংগতি দূর করতে এই পেশার জড়িত।

অন্যান্য ব্রোথেলের মতোই পটুয়াখালী ব্রোথেল গড়ে উঠেছে : পটুয়াখালী যৌনপল্লীটির শুরু ইতিহাস সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। এ যৌন পল্লীটি বৃটিস আমলের মাঝামাঝি সময় থেকেই শুরু। বিভিন্ন দেশের সমুদ্রগামী নাবিক, ব্যবসায়ী ও বৃটিশদের যৌন চাহিদার তাগিদ থেকে। প্রথম দিকে এর অবস্থান ছিল পুরাতন হাসপাতালে সিভিল সার্জন অফিস সংলগ্ন এলাকায়। ১৯৬৯ সালে পটুয়াখালী মহাকুমা থেকে জেলায় রূপান্তর হওয়ায় এর স্থান পরিবর্তিত হয়ে পুরাতন হাসপাতাল থেকে নতুন বাজার সড়ক সংলগ্ন লম্মালম্বি জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়। সেই সময় থেকে যৌনকর্মীদের ব্যক্তি মালিকানায় ঘড় ভাড়া দেয়ার প্রচলন শুরু হয়। বর্তমানে পটুয়াখালী যৌন পল্লীটি পুরাতন হাসপাতাল ও নতুন বাজার সড়ক সংলগ্ন লম্বালম্বি ভাবে শহরের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। সরু আকৃতির যৌন পল্লীর উত্তর দিকে রয়েছে মুল সরুর চলাচল পথ। বেসরকারি সংস্থার  থেকে প্রাপ্ত তথ্য হচ্ছে, বর্তমানে যৌন পল্লীতে প্রায় ৭০ জন যৌনকর্মী ছাড়া ১৫ জন সর্দারনী রয়েছে। অধিকাংশ যৌনকর্মী পটুয়াখালী, বরগুনা বরিশাল জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দারিদ্রতা, নদীভাঙ্গন, প্রতারণার শিকার বা পাচার হয়ে এখানে বসবাস করছে। অনেকের জন্ম এই পল্লীতে হয়েছে। বংশ পরশপড়ায় এ পেশায় জড়িত রয়েছে। বর্তমানে ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সের ৪০ জনের শিশু এ পল্লীতে রয়েছে। অনেক শিশু বর্তমানে পল্লী ভিতর বা বাইরে প্রাথমিক বিদ্যালয় লেখাপড়া শিখছে। এনজিও পরিচালিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। যৌনকর্মী তাদের সন্তান  শিক্ষা ও চিকিৎসার সহ এইচআইভি এইডস বিষয়ক প্রতিরোধক সহায়তা পেয়ে থাকে। যৌন পল্লীর ভিতরে বর্তমানে ১৫ টি ঘর রয়েছে এবং মালিকরা ঘরগুলোকে ছোট ছোট রুমে রূপান্তর করে প্রতিদিন ভাড়ার টাকা আদায় করে। এই যৌনপল্লীর সেনিটেশন ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক। বর্ষার সময় প্রায় জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় সরু পথগুলো। এমনকি অনেক যৌনকর্মীকে প্রায়শই যৌনকর্মীকে প্রায়শই ক্ষুধার্ত দিন কাটতে হয়। ঋণ নিয়ে খাবার কিনতে হয়।

খোজ নিয়ে জানা গেছে, যৌন পেশার কারণ হচ্ছে একটি মেয়েকে যৌনকর্মী হতে বাধ্য করে সুশৃংখলা দালাল চক্র, পুলিশ এবং এক স্বার্থান্বষী মহল। কেননা দালাল চক্রের মাধ্যমে মেয়ে সংগ্রহ করা হয়। পারিবারিক অভাব অনাটন থাকা সত্বেও পারিবারিক জীবনে যারা সৎ মা, বাবা এবং স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত অথবা বিধবা নারীদের মাধ্যমে। কিশোর মেয়েদেরকে ভাল চাকরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পাচার করে যৌনপল্লীতে বিক্রী হয়ে থাকে। যৌনপল্লীতে একটি মেয়েকে বিক্রীর দাম নির্ভর করে মেয়েটির সৌন্দয্য বয়স এবং দেহ সৌষ্টবের উপর। তারপর মেয়েটিকে সরর্দানীর ঘরে তুলতে হলে নাম লিখতে হয় পুলিশের গোপন খাতায়। পুলিশকে দিতে হয় ঘুষ। মেয়ের বয়স যত কম হয় টাকা তত বেশী দিতে হয়। করতে হয় এফিডেফিট। এ কাজে র্সদানীর সহযোগীতায় করে দালাল চক্র এবং পুলিশ। মেয়েটি জানেনা এ পেশায় নামাতে র্সদারনী কত টাকা ব্যয় হয়েছে। নারীর সতীত্বের মানসিক শক্তিকে ধ্বংশ করার প্রক্রিয়া হচ্ছে মেয়েদেরকে শিখানো হয় বিবাহ বর্হিভুত যৌনতা পাপ। সতীত্ব নারীর সবচেয়ে বড় সম্পদ। ইজ্জত একবার হারালে আর ফিরে পাওয়া যায় না। র্সদারণী প্রথম রাতে মেয়েটির সত্বীত্বের যে মানসিক শক্তি তা হরনের জন্য তার দাদা/বাবু দালাল বা পুলিশ কতৃক মেয়েটিকে ধর্ষন করানো হয়। মেয়েটি জোরাজরি করে তাহলে তাকে খাবারের সাথে ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে দেওয়া হয়। ঘুমান্ত অবস্থায় তাকে ধর্ষণ করা হয়। একজন যৌনকর্মী সারাদিন যা আয় করেন তার ব্যয়ের খাতই বেশী। কেননা প্রতিদিন বাড়ী ভাড়া গুনতে হয়। লাইট, ফ্যান টিবি  জন্য গুনতে হয় আলাদা টাকা।  সাথে রয়েছে সাজগোজ খাবার নেশা টাকা পুলিশ মাস্তানের চাদা। পাড়ার উচ্ছৃংখল যুবকেরা যৌন কাজ করে টাকা না দিয়ে চলে যায়। প্রয়োজনীয় নিত্য সামগ্রী কিনতে গেল স্বাভাবিক দামের চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হয়।

See also  পতিতালয় প্রশ্ন উত্তর পর্ব-৪ | পতিতালয় সমাজের ডাস্টবিনের মত এখানে সব ময়লা ফেলা হয়

যৌনপল্লীর ভিতরে মধ্যে ক্ষমতা কাঠামোর : যৌনপল্লীর ভিতরে যৌনকর্মীদের মধ্যে রয়েছে ক্ষমতা কাঠামো বিভিন্ন স্তর। কর্মীর জীবন চক্রের প্রতিটি ধাপে পরিবর্তন হয়। যৌন কর্মী নিয়ে একাধিক তথ্যসূত্রে জানা যায়, বয়স্ক যৌন কর্মীর তথা র্সদারনীর অধীনে কিছু অলিখিত নিয়মাবলীর মাধ্যমে পরিচালিত হয় পরাধীন যৌনকর্মী। মূলত মেয়েটি থাকা খাওয়া ভোরন পোষণ ঘর ভাড়া সব কিছুই বহন করেন র্সদারনী। মেয়েটির সকল আয় চলে যায় র্সদারনী কাছে। সর্দারনী প্রচেষ্টায় থাকে তাকে কিভাবে একজন পরিপূর্ণ যৌন কর্মী বানানো যায় এবং যৌনপেশার অভ্যস্ত করা যায়। পল্লীর নিজস্ব কিছু প্রথা শেখানো ও পরাধীন হিসাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়। যৌন পল্লী থেকে বাইরে যাতায়াত ও খদ্দের সাথে  রুমে সময় কাটা কাটতে পছন্দমত সাজগোজ এবং পোষাক পরার এমনিক কোথায় গোসল করবে কোথায় বাথরুম করবে সবকিছু উপর র্সদারনীর কড়া নজরদাড়ী থাকে। অনিয়ম ঘটলে মেয়েটি উপর কঠিন যৌন,শারীরিক ও মাণসিক নির্যাতন। কখনও পালানোর চেষ্টা করলে পেতে হয় শারীরিক নির্যাতন যেমন লোহার রড দিয়ে গরম করে তার উরুতে এমনিক যৌনাঙ্গে ছেকা দেয়া। অনেক খদ্দের নিতে সর্বশেষ র্সদারনী বাবু দ্বারা তাকে বলৎকার করানোর মত ঘটনা শোনা যায়।

See also  Kamathipura Red Light zone (updated) | All Unknown Thing About Bessaloy

একজন পরাধীন কর্মীকে স্বাধীন হতে হলে তাকে র্সদারনী পাওনা টাকা পরিশোধ করতে হয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পুলিশ পল্লীর প্রভাশালীর দালালের উপস্থিতিতে শালিস ব্যবস্থার মাধ্যমে মেয়েটিকে স্বাধীন  হওয়া যায়। ক্ষেত্রে আগে থেকেই পুলিশের টাকা দিতে হয়। স্থানীয় পাড়া মাস্তান বা প্রভাবশালী মন জয় করতে পারলে মেয়েটি স্বাধীন যৌনকর্মী হতে পারে। র্সদারনী নিজেই তাকে স্বাধীন করে মেয়েটি যখন বেশী খদ্দের টানতে পারছে না অথবা তার আয় কমে গেলে। স্বাধীন যৌনকর্মী থাকাকালীন সময়ে তার ক্ষমতার নিয়ন্ত্রকারী হিসাবে তাকে যারা পরিচালিত করেন তাদের মধ্যে দাদা/বাবু পুলিশ মাস্তান এবং বাড়ীওয়ালী। যৌনপল্লীর ভাষায় এই স্বাধীন যৌনকর্মীদের বলা হয় বকরী।

কিছুদিন স্বাধীন ভাবে যৌনকাজ করে কিছু টাকা সঞ্চয় করে দাদা বাবুল সহযোগিতায় নিয়ে স্বাধীন যৌনকর্মীর একদিন ঘরওয়ালী কাম স্বাধীন যৌন কর্মী হতে পারে। এ সময় অন্য যৌনকর্মীর কাছে ঘর ভাড়া দেওয়া হয়। যৌনপল্লীতে প্রচলিত নিয়ম পালনে সহযোগিতা করে থাকে দাদা বাবু (ভালবাসার লোক) ঘরওয়ালী। স্বাধীন যৌনকর্মী থাকাালীন তার ক্ষমতার নিয়ন্ত্রনকারী হিসাবে তাকে যারা পরিচালনা করেন দাদা বাবু পুলিশ স্থানীয় প্রভাবশীলী,বাড়ীর মালিকগন। সর্দারনী কিছুদিন চলার পর স্বপ্ন দেখেন যৌনপল্লীর ক্ষমতাকাঠামোর সর্বোচ্চ অবস্থা। এবার দালাল চক্র ও পুলিশের সহযোগিতায় যৌন ব্যবসার জন্য কিনে আনে অল্প বয়সী কিছু মেয়ে। যাদেরকে ডাকা হয় ছেমরী বা ছুকরী নামে। সেই ঘরওয়ালী কাম স্বাধীন যৌনকর্মী হয়ে যান যৌনপল্লীর র্সদারনী। যাকে সাধারনত যৌনকর্মীরা ডাকেন বড় আপা মা মাসি দিদি। তার অধীন থাকে বেশ কয়েকজন পরাধীন যৌনকর্মী।

ক্ষমতা এবং স্বার্থেও লড়াই টিকে থাকতে গিয়ে একসময় নি:স্ব হয়ে পড়ে র্সদারনী। কমতে থাকে অর্থের দাপট। স্বার্থপর লোপী দালাল শ্রেনীর তার কাছ থেকে আস্তে আস্তে দুরে সরতে থাকে। বয়সের তার ক্লান্ত হয়ে পরে। আয় ব্যয়ের অসংগাত বাড়তে থাকে। একসময় বাধ্য হন অন্য সচল যৌনকর্মীদের কাছ থেকে কিছু ধার কর্য করে কোন রকমের জীবিকা নির্বাহ করা। মাসি/ঝি/ভিক্ষুক যৌনকর্মী শারীরিক ভাবে কর্ম অক্ষম এই যৌনকর্মীকে সমাজ গ্রহন করতে চায়না। নিকট আত্বীয় স্বজনরা পরিচয় দিতে চায়না। তার সর্বশেষ ঠিকানা ঐ যৌনপল্লীর এবং সেখানে কাটিয়ে দেন বাকীটা জীবন। বেঁেচ থাকার তাগিদে তখন অন্য যৌনকর্মীর বাসায় কাজ করে। কোন ভাবে জীবন কেটে যায় বয়সের ভারে আস্তে আস্তে যখন কর্মক্ষম হয়ে পড়ে। তাদের আজীবনের সর্বশেষ দৃশ্যটা আরো করুন হচ্ছে, কোন যৌনকর্মীর মৃত্যু হলে সমাজপতিরা ধর্মের অজুহাতে তার সৎকার বিরুদ্ধে জোড় আপত্তি তোলেন। যৌনকর্মীর কোন দাফন হবে না। কোন ধর্মীয় নেতা পাওয়া যায় না মৃত্যুর পর ধর্মীয় অনুষ্ঠান করার জন।

See also  জামালপুর আবাসিক হোটেল দেহ ব্যবসা পরিচিতি । Jamalpur Deh Bebsa

যৌনপল্লীগুলেরা নিজস্ব কিছু উপসংস্কৃতি বা প্রথা দ্বারা নিয়ন্ত্রিন: যৌনপল্লীতে উপসংস্কৃতির রয়েছে। যৌন পল্লীতে কোন বিপদ বা রোগ ব্যধি দেখা দিলে আয়োজন করে রাতব্যাপী গাজীর গীতি। গান বাজনা এবং কীর্থন করা হয়।  চলে বিভিন্ন ধরনের খাওয়া ধাওয়া। যৌনকর্মীর কাছে পরপর দুই তিনদিন কোন খদ্দের না আসে তাহলে মেয়েরা সোনা রুপার পানি গরুর দুধের সাথে মিশিয়ে তার নিজের গায়ে জামা কাপড়ে সমস্ত ঘরে ছিটিয়ে তারপর পানি দিয়ে গোসল করে। তাদের বিশ্বাস এতে খদ্দের আসা বৃদ্ধি পাবে। যৌনপল্লীর মেয়েদের মধ্যে তারা কোন না কোন মজার বা পীরের মুরিত। ঐ পীর বা মাজারে বাৎসরিক উরস বা মাহফিলে তাদের আবশ্যই উপস্থিত থাকতে হয় হুজুরের মন সন্তুষ্টির জন্য এছাড়া অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দিতে হয় নজরানা। রোজার মাসে মেয়েরা রোজা রাখে না। তাদের বিশ্বাস যৌন পল্লীতে রোজা হয়না। রোজার মাসে অন্যকোন একজন গরীব মানুষকে খাইয়ে দেন। মসজিদে দান করেন মাদ্রাসায় অথবা এতিমখানায় খাবার দেন।

অধিকার বঞ্চিত পতিতার যৌন কর্মী: যৌন পল্লীর মধ্যে মাস্তান,সর্দারনী, বাবু (যৌনকর্মীদের ভালবাসার লোক) বাড়ীওয়ালা সহ পুলিশ ও যৌনকর্মীদের উপর নির্যাতন ও নিপীড়ন চালায়। মাস্তান, সর্দারনী এমনকি পুলিশকে প্রত্যেক যৌন কর্মীকে দিতে হয় বড় অংকের মাসওয়ারা। রয়েছ্ মিথ্যা ও হটকারিতামূলক মামলার ভীতি প্রদর্শন। যৌন কর্মীদের সাথে আলাপ চারিতায় জানাগেছে, ১৮ বছরের কম বয়স্ক শিশুরাও এখানে যৌনকর্মের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। এদের উপর রয়েছে বিশেষ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রন। শিশুদের এখানে যৌনকর্মে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ শিশুশ্রম নীতিমালা যেভাবে লংঘিত হচ্ছে ঠিক তেমনি শিশু অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এসব নিরাপধ শিশরা।

আরো জানা গেছে, অন্যন্য যৌন পল্লীর মতো এখানে গাজা, হিরোইন, মদসহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে। অধিকাংশ যৌনকর্মী তাদের সৌন্দর্য ও খদ্দের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য ক্ষতিকারক ট্যাবলেট সেবন করে থাকে। ফলে দ্রুত মোটা ও স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে। টেবলেট সেবনের অধিকাংশ সেবনকারী লিভার জনিত কারনে অসুস্থ্য হয়ে পরে। একটি গোষ্টি তাদের স্বার্থ উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য যৌন পল্লীটি উচ্ছেদে বিগত কয়েক বছর যাবৎ তৎপর অব্যাহত রাখছেন। বিনা কারনে বা পূর্ণবাসন ব্যতীত এই উচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অমাণবিক ও অসাংবাধানিক। উন্নয়নকমীসহ মানবাধিকার সংগঠনের বক্তব্য হচ্ছে,মানবাধিকার দৃষ্টিকোন থেকে এ অবস্থা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। পরিবর্তন করা দরকার বিকল্প শ্রম ব্যবস্থা ও প্রয়োজন সম্মান এবং মর্যাদা নিয়ে সমাজে বেঁচে থাকা। বিভিন্ন কারনে যৌন পেশায় অনেক নারী জড়িত হলেও তাদের সকলেই চায় মর্যাদা ও সমঅধিকার নিয়ে বাঁচতে। যৌনকর্মী ও তাদের শিশুদের নিরাপদ জীবন রক্ষা করার উচিত।