গোপালগঞ্জে জমজমাট দেহ ব্যবসা

Auto Draft

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর ইউনিয়নের বৌলতলী নদীর পারে পদ্মবিলায় এলাকায় চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পুরুষদের আগমন ঘটছে অথচ পুলিশ রয়েছে নীরব দর্শকের ভুমিকায়।

গতকাল সরোজমিন গিয়ে জানা যায়, পদ্মবিলা এলাকার মৃত দিলিপ বিশ্বাসের বাসা বাড়ীতে তার স্ত্রী রমা বিশ্বাস প্রকাশ্যে জমজমাট ভাবে চালাচ্ছে দেহ ব্যবসা। এ অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়ে নষ্ট হচ্ছে পদ্মবিলা, উলপুর ও বৌলতলীর এলকার যুব সমাজ। তবে ওই এলাকায় বসবাসকারী সাধারন মানুষ পরিবার পরিজন ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে রয়েছে ভোগান্তির মধ্যে। এ পরিবেশে অনেক কষ্ট করেই তাদের বসবাস করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, দিলিপ বিশ্বাসের স্ত্রী রমা বিশ্বাস দীর্ঘ দিন যাবত প্রকাশ্যে তার বাসা বাড়ীতে অবৈধ ভাবে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তারা আরো জানায় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের সাথে রয়েছে তার সখ্যতা তা ছাড়া এলাকার কিছু প্রভাবশালী লোকও তার সাথে জড়িত রয়েছে যার কারনে আমরা ভয়ে তার বিরুদ্ধে কোথাও কোন অভিযোগ দিতে পারি না।

See also  এ কী চলছে কুমিল্লার আবাসিক হোটেলগুলোতে?

গতকাল সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধানি দল পদ্মবিলা এলাকায় গেলে সেখানে গিয়ে দিলিপ বিশ্বাসের স্ত্রী রমাসহ সুমি বিশ্বাস (২০) নামে আরো এক পতিতার দেখা মেলে। দেহ ব্যবসায়ী রমা বিশ্বাস ও একই গ্রামের সুমির সাথে ভিন্ন পরিচয়ে কথা হয় সাংবাদিকদের ওই অনুসন্ধানি টিমের এ সময় রমা বিশ্বাস জানায়, আমি আর সুমি আমরা দুজনে এক সঙ্গে এ কাজ করি আমাকে নিলে প্রতি ঘন্টা এক হাজার টাকা আর সুমিকে নিলে প্রতি ঘন্টা সাতশ টাকা দিতে হয়। তবে প্রতিদিন রমার আয় হয় প্রায় দশ থেকে বিশ হাজার টাকা বলেও তিনি জানান।

পরে সাংবাদিকদের অনুসন্ধানি দলটি সাংবাদিক পরিচয় দিলে সুমি বলেন, আমি এ ব্যবসা করতে চাইনি আমাকে রমাদি ভুলিয়ে ভালিয়ে এখানে এনে জোর করে আমাকে দিয়ে এ ব্যবসা করাচ্ছে। সে আরো বলে শুধু আমি না আমার মত অনেক মেয়েকে দিয়ে সে এ কাজ করায়।

See also  মানিকগঞ্জে বাড়িতে দেহ ব্যবসা: ২ কলেজ শিক্ষার্থীসহ বাড়ির মালিক আটক

সাংবাদিকদের অনুসন্ধানি দলটি রমার ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে তাদের সঙ্গে দেখা মেলে চারজন পুরুষ মানুষের তাদের মধ্যে ৩ জন দৌড়ে পালিয়ে যায়, শুধু পালাতে পারে না বিপুর বিশ্বাস (৩০) নামে একটি কাষ্টমার।

এ সময় রমা ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করার চেষ্টা চালায় কিন্তু এলাকাবাসীর চাপের মুখে সে থেমে যায়।
এ ঘটনার পর সাংবাদিকদের অনুসন্ধানি দলটি স্থানীয় বৌলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসিকে বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বলেন, আপনারা আমার অফিসে আসেন আর একটা অভিযোগ দেন আমি পরে বিষয়টি দেখবো।

বৌলতলী পদ্মবিলা এলাকায় জমজমাট দেহ ব্যবসা বন্ধের ব্যাপারে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছে এলকার সাধারন মানুষ।

Source:: https://www.bdtimes365.com/country-news/2017/05/02/156440