এলেঙ্গায় একতারা ও নিউ আবাসিক হোটেলে জমজমাট দেহ ব্যবসা

এলেঙ্গায় একতারা ও নিউ আবাসিক হোটেলে জমজমাট দেহ ব্যবসা

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার উত্তরবঙ্গের উন্নতম প্রবেশদ্বার এলেঙ্গা  বাসস্ট্যান্ড অবস্থিত একতারা ও নিউ আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন যাবৎ সুন্দরী রূপসী নর্তকী রিজার্ব রেখে অত্যন্ত দাপটের সহিত চালিয়ে যাচ্ছে হোটেল মালিক তাদের পতিতা দিয়ে দেহ ব্যবসা। এ ব্যপারে প্রশাসন’র নজরদারিতে ও এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগে গত ২১ ডিসেম্বর কালিহাতী থানার পুলিশের একটি দল নিউ আবাসিক হোটেল ও একতারা থেকে পতিতা ও খদ্দেরসহ বেশ কয়েকজনকে হাতে নাতে আটক করে তাদের বিরোদ্ধে মামলা রূজু করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। যা ইতিপূর্বে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তার পরও থামছেনা তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড।  দাপটের সাথে ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকার কিছু ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। উপজেলায় পতিতা ব্যাবসায়ীর গডফাদার আজাহারুল ইসলাম সোনা মোল্লার খপ্পরে পরে পতিতা ব্যবসায় নামতে বাধ্য হয়েছে অসহায় অনেক যুবতী। সোনা মোল্লা খপ্পরে পড়ে নিঃশ্ব হয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে অনেক যুবক।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এলেঙ্গা ফুটওভার ব্রীজের পাশে নিচতলা ফ্যামিলি কেয়ার হাসপাতাল ও উপরে নিউ আবাসিক ও একতারা হোটেল এর মালিক আজাহারুল ইসলাম সোনা মোল্লা দীর্ঘ দিন যাবত যুবতীদের দিয়ে আবাসিক হোটেলে রমরমা দেহ ব্যবসা করে আসছে।

সুত্রে জানা যায়, সোনা মোল্লা শহরের আবাসিক হোটেল এবং নারী পিপাসু ব্যাক্তিদের কাছে সুন্দরী নারীদের জিম্মি করে সরবরাহ করে থাকেন। রাত গভীর হলে বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে তাদের গন্তব্য স্থানে পাঠিয়ে দেয়।

সোনা মোল্লার অদৃশ্য ক্ষমতার দাপটে ভয়ে কেউ কিছু বলে না। তার এসকল অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ভাবে ফাঁসিয়ে দেয় ও তাদের লাঞ্চিত করে থাকেন।

এলাকাবাসী জানতে চায় সোনা মোল্লার হোটেল নামে পতিতালয় মালিকের খুটির জোড় কোথায় ? সেই সাথে স্থানীয় প্রশাসনের সু-দৃষ্টি ও গোয়েন্দা বিভাগ, র‌্যাবসহ ভ্রাম্যমান আদলতের হস্তক্ষেপ নিউ আবাসিক ও একতারা আবাসিক হোটেল বন্ধের জোর দাবী জানান এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে নিউ আবাসিক ও একতারা হোটেলের মালিক আজাহারুল ইসলাম সোনা মোল্লার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,  তিনি প্রশাসনকে ও স্থানীয়দের ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা করে আসছি।

See also  এলেঙ্গায় আবাসিক হোটেলে দেহ ব্যবসা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

এ ব্যপারে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার আখেরুজ্জামান’র মুঠোফোনে একাদিকবার যোগাযোগ করে তাঁর বক্তব্য নেয়া যায়নি।

Source: http://gonobiplob.com/