সাতক্ষীরা আবাসিক হোটেলে মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো কুখ্যাত দেহ-ব্যবসায়ীর গোমর ফাঁস

সাতক্ষীরা আবাসিক হোটেলে মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো কুখ্যাত দেহ-ব্যবসায়ীর গোমর ফাঁস

সাতক্ষীরা আবাসিক হোটেলে মেয়েদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো কুখ্যাত দেহ-ব্যবসায়ীর গোমর ফাঁস

সাতক্ষীরা শহরে আবাসিক হোটেল গুলোই চলছে রেমডম অবৈধ দেহ ব্যবসা। সাতক্ষীরায় আবাসিক হোটেল নামটি সাতক্ষীরা শহরের একটি অতি পরিচিত নাম। যার মালিক শহরে কুখ্যাত মেয়েদের দালাল ও নারী পাচারকারী গফুর।

এক সময় যে সাতক্ষীরা শহরের জর্জকোর্টে বাদাম বেচতো। সেখান থেকে কোর্টের পাশে বর্তমান সংগ্রাম মেডিকেলের পাশে একটি ২তালা বাসা ভাড়া নিয়ে সাতক্ষীরা আবাসিক নামে একটি মিনি পতিতালয় গড়ে তোলে। সেখান থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে তাকানো লাগেনি। তারপরে একে একে আরো কয়েকটি বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে গড়ে তোলে মেয়েদের নিয়ে দেহ ব্যাবসার কারখানা। এতে তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে তার আপন সহোদর আজিজ সহ আরো কয়েকজন বহিরাগত লোক। কয়েক বছরের মধ্যে গফুর থেকে দেহ ব্যাবসাহী গফুর সাহেব নামে পরিচিত হয়েছে।

সিটি কলেজের সামনে তার রয়েছে প্রায় কোটি টাকা মুল্যের একটি বহুতল ভবন। যেখানে ছাত্রদের মেস বলে বিল্ডিংটি চালালেও প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন যাইগা থেকে মেয়েদের নিয়ে এসে সেখানে রাখে। তাছাড়া বিনেরপোতা সহ শহরের বিভিন্ন স্থানে সে কোটি টাকার সম্পত্তি কিনে রেখেছে। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেও তার ভাড়াটিয়া গুন্ডা ও কিছু প্রশাসনের অসাধু লোকদের দিয়ে তার নামে মিথ্যা মামলা ও নানা প্রকার হয়রানি করে।

সে কৌশলে স্থানীয় সরকারি দলের কিছু প্রভাবশালী লোকদের হাতে রেখে হোটেলের সাথে সাথে মাদক ব্যাবসা সহ নারী পাচার করার মতো ও ঘৃন্যত কাজ ও করে আসছে। তার আবসিক হোটেল গুলোতে সকল প্রকার মাদক দ্রব্য পাওয়া যায়। তাছাড়া খুলনা রোড মোড়ে হাসপাতালের বিপরীতে হোটেল স্বদেশ ও হোটেল শাপলা নামে আরো ২টি মিনি পতিতালয় গড়ে উঠেছে। এ সকল মিনি পতিতালয়ের খদ্দের হলো স্কুল ও কলেজের উঠতি বয়সের ছাত্র ও মাদকাসক্ত যুবকেরা। দিন রাত সারাদিন হোটেল গুলোতে তালা মারা থাকে যাতে হটাত করে কেও হোটেল গুলোতে প্রবেশ করতে না পারে। মাঝে মধ্যে প্রশাষনের লোক দেখানো ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করলেও তার খবর আগে থেকে হোটেল মালিকেরা পেয়ে যায়। তাছাড়া প্রতিটি হোটেলেই গোপন পথ রয়েছে যার মাধ্যামে অভিজান শুরুর আগেই তারা পতিতাদের হোটেল থেকে বার করে দেই।

See also  নওগাঁয় ৪ দেহ ব্যবসায়ী ও ২ খদ্দেরের জেল

সাতক্ষীরার বর্তমান পুলিশ সুপার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, বিপিএম মহোদয়ের দৃড়তার কারনে সাতক্ষীরা শহর ও গোটা জেলায় প্রায় মাদক মুক্ত হয়েছে। তাই সাতক্ষীরার সচেতন মহলের একটাই প্রত্যাশা, মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয় এ সকল অবৈধ হোটেল নামধারী পতিতালয় গুলো বন্ধ করার জন্যে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলে আশাবাদী সাতক্ষীরা সচেতন এলাকাবাসী ।

source: http://www.satkhirapress.com/